নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: গত ৫ আগস্ট আওয়ামিলীগ সরকারের পতনের পর আওয়ামিলীগ নেতাকর্মীরা মামলা হামলা থেকে বাঁচতে অনেকেই পালিয়ে বা আত্মগোপনে চলে যায়। সেই সুবাদে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের পদ স্থগিত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেসব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনুপস্থিত সেখানে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তার ই ধারাবাহিকতায় সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লার অনুপস্থিতিতে একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল কালাম কে প্যানেল চেয়ারম্যান বানানোর জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করছেন সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র নেত্রীবৃন্দ।
জানা যায় সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল কালাম নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাবেক এমপি একেএম সেলিম ওসমানের আর্শীবাদপুষ্ট হয়ে পদ নেন ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এর। সেই সাথে দখল করেন ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদও।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মদনপুর বাস স্ট্যান্ডে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম এর লোকজন ছাত্রজনতার উপর যে অতর্কিত আক্রমণ করে তার নেত্রীত্বে ছিলেন এই আবুল কালাম। এলাকায় সেলিম ওসমানের নাম ভাঙিয়ে জুলুমের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেন এই আবুল কালাম।
আবুল কালাম সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হবে একথা জানাজানি হলে ছাত্রজনতার মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা জানান সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির কেউ যদি আবুল কালাম কে পুনর্বাসিত করে তাহলে তা হবে ছাত্রজনতার রক্তের সাথে বেইমানি করা। আবুল কালাম প্যানেল চেয়ারম্যান হলে আবারও রাজপথ দখল নিয়ে আন্দোলনে নামবে বলে হুশিয়ারি দেয় তারা।
এবিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের একজন মেম্বার প্রতিবেদক কে জানান, আমাদের মামলার ভয় দেখিয়ে আবুল কালাম এর প্রতি সম্মতি নিয়েছে ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র নেত্রীবৃন্দ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, এই ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। তবে ব্যাপারটা আমি দেখতেছি৷