নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর সোনাপুর এলাকায় একটি বাসা বাড়ি থেকে গলাকাটা ও ফাঁসিতে ঝুলানো অবস্থায় উদ্ধার করা দু ব্যক্তি কবিরাজি করতেন বলে জানিয়েছেন গ্রেফতারকৃতরা। গ্রেফতারকৃতরা জানান, গত এক বছর আগে তাদের পরিবারের এক ব্যক্তিকে কবিরাজি করে খুঁজে বের করে দিয়েছিলো খুন হওয়া দুই যুবক। সেই থেকে তাদের পরিবারের সাথে তাদের সর্ম্পক।
গ্রেফতারকৃত বাদশা মিয়ার স্ত্রী লায়লা (৪৫) জানান, গত এক বছর আগে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার উত্তর গোমনাথ গ্রামের তার স্বামী বাদশা মিয়া নিখোঁজ হয়। স্বামীকে খুঁজে বের করতে এরপর একই এলাকার মিনারুল ও মজনু মিয়া নামের দুই কবিরাজের কাছে যায়। কবিরাজিরা কবিরাজি করে তার স্বামী বাদশা মিয়াকে খুঁজে বের করে দেয়। এরপর থেকে খুন হওয়া মিনারুল ও মজনু তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। গত এক বছর আগে তার ছেলে এহসান ছেলে বউ ও নাতিদের নিয়ে কাঁচপুরে বসবাস শুরু করেন তারা। গত ২৫ তারিখে নীলফামারী থেকে কবিরাজ মিনারুল ও মজনু তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। গতকাল রাতে খাবার খেয়ে মনিরুল ও মজনু তাদের পাশের একটি কক্ষে ঘুমাতে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে বাদশা মিয়ার বাবা এহসান মিয়া ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাদের পাশের ঘরে দরজা খোলা অবস্থায় একজনকে বিছানায় ও অন্যজনের গলায় ফাঁস লাগানো রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনের গলাকাটা ও অন্যজনের গলায় ফাঁস লাগনো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় পুলিশ লায়লা বেগম, তার ছেলে এহসান ও স্বামী বাদশা মিয়াকে জিঞ্জেসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।