নয়াগাঁও’য়ে সংষর্ঘের ঘটনায় আলী আহম্মেদ নামে আরেক জনের মৃত্যু
- আপডেট টাইম : সোমবার, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার নয়াগাঁও গ্রামে এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় আলী আহম্মেদ (৬৫) নামের আরো একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। সোমবার ময়না তদন্ত শেষে পাশ্ববর্তী পিরোজপুর গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে বিকেলে দাফন করা হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় পাল্টাপাল্টি মামলার পর নয়াগাঁও গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। ওই গ্রামে নিরাপত্তার জন্য ১৬ সদস্যের একটি পুলিশ দল মোতায়েন করা হয়েছে। মসজিদের মুসল্লি শূন্য হয়ে পড়েছে। ওই গ্রামে বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলী আহম্মেদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সোমবার রাতে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামের হাজী আলাউদ্দিনের সঙ্গে একই এলাকার ব্যবসায়ী সাদেকুর রহমান ওরফে সাদেক মোল্লার আধিপত্য বিস্তার ও একটি কোম্পানির বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে দ্বন্ধ চলে আসছে। এ ঘটনায় শুক্রবার আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে হামলায় ১০ আহত হয়। পরদিন শনিবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন মুখোমুখি সংঘর্ষে আলাউদ্দিন পক্ষের সমর আলী নিহত হয় আহত হয় ২০জন। এ ঘটনায় নিহত সমর আলীর ভাই আব্দুল আলী বাদী হয়ে মো. জজ মিয়াকে প্রধান আসামী করে ১৭ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে আহত সাদেকুর রহমানের স্ত্রী শেফালী বেগম বাদী হয়ে হাজী আলাউদ্দিনকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে সাদেকুর রহমানের পক্ষের আলী আহম্মেদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোববার দুপুরে মারা যান। সোমবার বিকেলে আলী আহম্মেদের ময়না তদন্ত শেষে পাশ্ববর্তী গ্রাম পিরোজপুরের সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
আলী আহম্মদের পুত্রবধু কাকলী আক্তারের অভিযোগ, হাজী আলাউদ্দিনের সন্ত্রাসী বাহিনী শনিবার সকালে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে তাদের। এ ঘটনায় তার শশুর আলী আহম্মেদ আহত হওয়ার পর পুনরায় হামলার ভয়ে চালিভাঙ্গা মেয়ের বাড়িতে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি রোববার দুপুরে মারা যান। আলাউদ্দিন বাহিনীর তান্ডবের ভয়ে লাশ নিজ গ্রামের সামাজিক কবরস্থা দাফন না করে পাশ্ববর্তী পিরোজপুর কবরস্থানে দাফন করতে হয়েছে।