আসিক সরকার: সরকারের নিষেধ অমান্য করে উপজেলার কাইকারটেক ব্রিজে ঈদের দিন বিকেল বেলা দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। কাইকারটেক ব্রিজটি সোনারগাঁ ও বন্দর উপজেলার ব্রক্ষ্মপুত্র নদের উপর অবস্থিত হওয়ার দুই উপজেলার কয়েক হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। ঘরবন্দি মানুষ ঈদের দিন পরিবার পরিজন নিয়ে সমাবেশ হতে থাকে ব্রিজের উপর। সন্ধ্যা গড়াতে ব্রিজটি বিভিন্ন বয়সের লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। এতো লোকের সমাগমের কারণে করোনা ঝুঁকি বাড়তে পারে এটা জেনেও শারীরিক দুরত্ব মানেনি এখানে ঘুরতে আসা মানুষেরা।
সুত্র জানান, কাইকারটেক ব্রিজটি নির্মাণের পর থেকে সোনারগাঁ ও বন্দর উপজেলার মানুষ বিনোদনের জন্য পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটির দিনগুলোতে ব্রিজটিতে ঘুরতে আসেন। এভাবে কয়েক বছরে দুই উপজেলা মানুষের কাছে কাইকারটেক ব্রিজটি জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। বিশেষ করে ঈদের পর পর দিন ও ছুটির দিনগুলোতে লোক সমাগম বেশী ঘটে এখানে। লোক সমাগমের কারণে ব্রিজের উপর মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়। অতিরিক্ত মানুষের সমাগমের কারণে ব্রিজটির উপরে চটপটির দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের দোকান বসিয়ে মেলায় রূপান্তরিত করেন স্থানীয়রা। আজ ঈদের দিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের দিন দুপুর ৩টা থেকে লোক সমাগম ঘটতে থাকে ব্রিজটিতে। অতিরিক্ত গরম ও নদীতে বাতাস থাকায় বিকাল হতেই লোকে লোকারন্য হয়ে যায় পুরো ব্রিজ। এদিকে করোনার কারণে পুরো নারায়ণগঞ্জে লক ডাউন থাকায় ঈদের দিনে মানুষকে ঘর থেকে বের থেকে নিষেধ করে দুই উপজেলার প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের আদেশ অমান্য করে ঈদ দিন বিপুল পরিমান লোকের সমাগম ঘটে ব্রিজটিতে। এদিকে সোনারগাঁ ও বন্দর ২ উপজেলার করোনার সংক্রমণ অত্যান্ত বেশী। করোনার মধ্যে ব্রিজটিতে এতো লোকের সমাগম করোনা সংক্রমণের ঝুকি কয়েকগুন বেড়ে যাবে বলে মনে করেন সচেতন নাগরিকরা। এজন্য দুই উপজেলা প্রশাসনকে অভিযান চালিয়ে করোনাকালে ব্রিজটিতে লোক সমাগম বন্ধ করতে হবে বলে তারা মত দেন।