নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ললাটি এলাকায় রাজমিস্ত্রী লাল মিয়াকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার অন্যতম প্রধান দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। গতকাল রবিবার রাতে তাদের মেঘনা শিল্পাঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মনির হাসান জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকালে সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের ললাটি গ্রামের আব্দুস সামাদের সাথে খোরশেদের দীর্ঘদিন ধরে ২০ শতাংশ জমি নিয়ে দ্বন্ধ চলছিল। জমিটি খোরশেদের দখলে রয়েছে এবং একাধিকবার বিচার শালিসে খোরশেদ এ জমির রায় পেয়েছে। আব্দুস সামাদ এ জমিটি দখল করতে ব্যর্থ হয়ে সম্প্রতি এ বিরোধপূর্ন জমিটি সনমান্দী ইউনিয়নের নাজিরপুর বড়বাড়ি এলাকার জাতীয় পার্টির নেতা ও স্ব-ঘোষিত নাতী গ্রুপের প্রধান প্রভাবশালী হাজী আনোয়ার হোসেনের কাছে বিক্রি করে দেন। হাজী আনোয়ার জমিটি ক্রয় করে দখলে নেয়ার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে তার নেতৃত্বে মদনপুরের সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান হাবিব, মিঠু, গোলজারসহ ৭০-৮০ জন ব্যক্তি ওই জমি দখল করতে যায়। এ সময় খোরশেদের ফুফা লাল মিয়া মিস্ত্রী এতে বাধা দিতে আসলে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে হাজী আনোয়ার ও তার লোকজন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। ঘটনার পর পরই এ ঘটনায় জড়িত আব্দুস সামাদ ও তার ছেলে মহিউদ্দিনকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে লাল মিয়ার ছেলে খোকন বাদি হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে মামলার অন্যতম প্রধান আসামী ভুমিদস্যু ও মদনপুর এলাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী হাবিবুল্লাহ হাবির ও জামপুর ইউনিয়নের সন্ত্রাসী ও ভুমিদস্যু এবং লালমিয়া হত্যার অন্যতম প্রধান আসামী গোলজারকে ফাঁদ পেতে মেঘনা শিল্পাঞ্চল থেকে রবিবার ভোররাতে গোপন বৈঠক করার সময় গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, তাদের গ্রেফতার খবর ললাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী এসআই মনির হাসানকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিল করছে।
গ্রেফতারকৃত হাবিবুল্লাহ হাবিব বন্দও উপজেলার মদনপুর এলাকার মুরাদপুর গ্রামের মৃত আঃ বাতেনের ছেলে ও গোলজার হোসেন উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের হাতুড়াপাড়া গ্রামের অলিউল্লাহর ছেলে।