নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ গত সোমবার প্রথম সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া এলাকার আবুবকর (১৪) নামের এক বালক করোনা আক্রান্ত হয়। এরপর তাকে এ্যাম্বুলেন্সে করে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। ডাক্তাদের ধারনা কোন করোনা রোগীর সংর্স্পশে নয় সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে ও মূখে মাস্ক ব্যবহার এবং ঠিক মতো সাবান দিয়ে হাত না ধোয়ার কারণে সম্ভবত করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে।
আজ বুধবার কাঁচপুরে শহিদুল (৪৭) নামের ২য় করোনা রোগী সনাক্ত হয়। সে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
সোনারগাঁয়ে ২জন করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর অনেকের মনেই করোনার ভীতি সৃষ্টি হয়। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও অনেক স্ট্যাটাস দিয়ে সোনারগাঁবাসীকে ঘরে থাকার অনুরোধ করেছেন। এর আগে গত ২৬ তারিখের পর উপজেলা প্রশাসন ও আইনশুঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে করোনা মোকাবেলায় গণসচেতনা থেকে শুরু করে লিফলেট, মাস্ক ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন। করোনা প্রাদূর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে অসহায় মানুষকে ব্যক্তিগত ও সরকারের পক্ষ খাবার সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। প্রশাসনের আদেশ অমান্য করে জনগণ ঘরে না থাকায় জেলা প্রশাসক বাধ্য হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লক ডাউন ঘোষনা করেন। তারপর সামাজিক দুরত্ব মানছেনা সোনারগাঁবাসী।
সরেজমিনে নিউজ সোনারগাঁয়ের প্রতিনিধিরা পৌরসভার পানাম নগরীর আদমপুর বাজার (বর্তমানে আমিনপুর মাঠ) মোগরাপাড়া চৌরাস্তা, উদ্ধবগঞ্জ বাজার, সনমান্দি প্রেমের বাজার, নয়াপুর বাজার, কাঁচপুর বাজার ও মেঘনা শিল্পাঞ্চল ব্যাপারী বাজারসহ অন্যান্য বাজারে ঘুরে দেখেন ভিন্ন চিত্র। গতকাল করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পরও সচেতনা আসেনি তাদের মধ্যে। সামাজিক দুরত্ব বাজায় না রেখে একে অপরের সাথে গা ঘেঁষে বাজার সদাই করছেন। এসময় অনেক দোকানদার ও ক্রেতাদের মুখে মাস্ক থাকলেও অনেকেই আবার স্বাভাবিক ভাবেই ঘুরাফেলা করছে বাজারে। অনেকে আবার পুরোনো জঝাজীর্ন মাস্ত মুখে দিয়েই বাজারে এসেছেন। যা বর্তমান সময়ের জন্য অত্যান্ত বিপদজনক।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওমি মনিরুজ্জামান জানান, করোনার প্রাদূর্ভারের পর থেকে আমরা সাধারণ মানুষকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেলা, ঘর থেকে অপ্রয়োজনে ঘর না বের হওয়া, মাস্ক ব্যবহার করা সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ বিভিন্ন ভাবে মানুষকে সচেতনা তৈরীর চেষ্টা করছি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুলিশ বিভিন্ন হাট বাজার ও জনসমাগমপুর্ণ এলাকায় গিয়ে মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করছে। পুলিশ গেলে মানুষ চলে যায় পুলিশে আসার পর তারা আবার আগের মতো হয়ে যাচ্ছে। সারা পৃথিবীরতে মানুষ মরার খবর দেখে শুনেও যদি করোনা মোকাবেলায় জনগন যদি নিজের থেকে সচেতন না হয় পুলিশ কতক্ষন তাদের বুঝাবে।