নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: করোনা মোকাবেলায় সরকার গত ২৬ তারিখ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা থেকে গুলিস্থানগামী সকল প্রকার গনপরিবহন বন্ধ ঘোষনা করেছে। গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়া বেকার হয়ে পড়েছে সোনারগাঁ থেকে চলাচল করা সকল গণপরিবহনের চালক ও হেলপাররা। এছাড়া করোনা প্রাদূর্ভাবের কারণে বেকার হয়ে পড়ে তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরা। ফলে খাদ্য অভাব দেখা দিয়েছে। দেশের এ দু:সময়ে পরিবহন শ্রমিকদের পাশে নেই শ্রমিক মালিক সমিতির নামে চাঁদা উত্তোলনকারী নেতারা।
সূত্র থেকে জানা যায়, মেঘনা ও দাউদকান্দি থেকে কয়েক কোম্পানীন গনপরিবহন গুলিস্থানে চলাচল করে। এসময় পরিবহন থেকে নামে বেনামে কয়েকটি মালিক শ্রমিক কল্যান সমিতিরি নামে প্রতিদিন গড়ে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করেন সোনারগাঁয়ে স্থানীয়ন কয়েকজন শ্রমিক নেতা। যারা ঘরে বসে বসে লোক দিয়ে এসব পরিবহন থেকে চাঁদা উত্তোলন করেন। সে টাকা মালিক ও শ্রমিকদের কল্যানে ব্যয় করবেন বলে সরকারের কাছে থেকে সনদ গ্রহন করেন। সেই মোতাবেক তারা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে নিদিষ্ট হারে গাড়ী প্রতি চাঁদা উত্তোলন করেন। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তার গাড়ী বন্ধ নয়তরা গাড়ীর ভাংচুর করে শ্রমিকদের মারধর করা হয়। সেজন্য পরিবহনের মালিকরা তাদের ভয়ে নিদিষ্ট হারে চাঁদা দিতে বাধ্য হয়। সেই টাকা উত্তোলন করেন সরকারের নামধারী কিছু নেতা ও পুলিশ ও পুলিশের প্রতিনিধিরা। তবে দেশের এ কাÍিলগ্নে শ্রমিক ও মালিকদের দু:সময়ে তাদের পাশে নেই সেই সব নামধারী মালিক সমিতির নেতারা।
এ ব্যাপারে এক পরিবহন শ্রমিক জানান, দাউদকান্দি থেকে গুলিস্থান এলাকায় চলাচলরত নাফ পরিবহনের মালিকদের কাছ থেকে প্রতিদিন গাড়ী প্রতি ১৫শত টাকা চাঁদা নেন আফজাল নামের এক নেতা। সে তার বাহিনী দিয়ে প্রতিদিন এ চাঁদা উত্তোলন করেন। আফজাল চিটাগাং রোড অফিস নিয়ে তার লোক জনের দিয়ে এ চাঁদা আদায় করেন। যার কিছু অংশ পান কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশও। কিন্তু গত ২৬ তারিখ থেকে নাফ পরিবহনটি বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েন সে পরিবহনের শ্রমিকরা। কিন্তু যারা প্রতিদিন এ গাড়ীর মালিক থেকে ১৫শত টাকা আদায় করতো নেই নেতার কোন দেখা নেই।
সোনারগাঁয়ে পরিবহন শ্রমিকরা জানান, গত ২২ ধরে গাড়ী বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। গাড়ীর মালিকরা টুকটাক টাকা দিলেও মালিক শ্রমিক সমিতির নামে যারা বছর ধরে কোটি কোটি টাকা আদায় করতো সেই সমিতির কোন দেখা নেই দেখা নেই সেই পরিবহন নেতাদের। তারা আরো জানান, এভাবে চলতে থাকতে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।