নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের উপ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষনা অনুযায়ী আগামী ১৩ তারিখ মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ এবং ৭ অক্টোবর উপ নিবার্চন। তফসিল অনুযায়ী আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী দলীয় কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও বিরোধী দলীয় জাতীয়পার্টি তাদের প্রার্থী দেয়ার ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। তারা জানান, এখনও সময় আছে, প্রার্থী ঘোষনা করা কোন জটিল বিষয় না পরিস্থিতি ও পরিবেশ বিবেচনা করে প্রার্থী দেয়ার ব্যাপারে আমরা দলীয় ভাবে সিদ্ধান্ত নিবো। আপতত; পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছি।
গত ২২ জুলাই সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মৃত্যুবরণ করার পর এ আসনটিকে শুন্য ঘোষনা করেন নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নিয়মনুযায়ী আসন শুন্য ঘোষনার ৩ মাসের মধ্যে উপ নির্বাচন করতে হবে। সে অনুযায়ী গত ২রা সেপ্টেম্বর উপ নির্বাচনের তফসিল ঘোষসা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিলে ঘোষনা করা হয় আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর মনোয়নের শেষ তারিখ, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৪ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বিষয়ে কোন আপত্তি থাকলে তা আপিলের শেষ তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর, আপিল নিস্পত্তির শেষ তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর, প্রতিক বরাদ্ধ ২০ সেপ্টেম্বর ও নির্বাচনের তারিখ ৭ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এদিকে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে বর্তমান ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগের নেতারা ততই সরব হয়ে উঠছেন। তারা ইতিমধ্যে দলীয় কার্যালয় থেকে ৭জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। উপ নির্বাচনে ক্ষমতাশীন দলীয় প্রার্থীরা দৌড়ঝাপ শুরু করলেও মাঠে নেই বিরোধী দল জাতীয়পার্টি ও অন্যান্য দলের নেতারা। ফলে এখনও পর্যন্ত নির্বাচনটি একমূখি অবস্থায় রয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাছন হতে হলে সব দলের অংশ গ্রহন নিশ্চিত করতে হবে। একটি সোনারগাঁয়ে উপ নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাশীন দলের নেতা ছাড়া কোন দলের প্রার্থী দেখা যাচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন হওয়ার সমম্ভনা ক্ষীন।
এদিকে সোনারগাঁ জাতীয়পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবার জানান, বর্তমানে সোনারগাঁ জাতীয়পার্টি অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। দলটি থেকে সোনারগাঁয়ে টানা দুই দুইবার জাতীয়পার্টির এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে আমাদের প্রার্থী নির্বাচনে আসলে নির্বাচিত হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী রয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিেিততে নির্বাচন নিয়ে এখনও কোন দলের মধ্যে আলাপ আলোচনা হয়নি। তারপর মামুনুল হক কান্ডের পর ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে আমাদের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হয়রানিমুলক কয়েকটি মামলা হয়েছে। আমাদের দলের সভাপতিও জেলে রয়েছেন। দলের কয়েকজন নেতাকর্মী জামিন হলেও আরো অনেক নেতাকর্মীর জামিন হয়নি। ষড়যন্ত্রমুলক এ মামলায় আমাদের জড়িয়ে দলের শক্তি বিনষ্ট করতে একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে যা আপনারা সবাই জানেন। এমন একটি মুর্হুতে উপ-নির্বাচন যে মুর্হুতে আমাদের নেতাকর্মীরা গ্রেফতারের ভয়ে বাড়ী ছেড়ে যাযাবরের মতো জীবন যাপন করছে। সেজন্য নির্বাচনে আমরা আসবো কিনা সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। পরিস্থিতি দেখে আরো ২/১ পরে আমরা দলীয় এমপি ও নেতাকর্মীরা বসে একটি সিদ্ধান্ত নেবো।