নিউজ ডেস্ক: অ্যালো ভেরার নির্যাস শরীরের বিষাক্ত উপাদান দূর করতে পারে যা ওজন কমানোতে সহায়ক। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ওজন কমাতে অ্যালো ভেরা ব্যবহারের পাঁচটি পন্থা সম্পর্কে জানানো হল।
অ্যালো ভেরার সঙ্গে লেবুর রস
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অ্যালো ভেরা ও লেবুর রস মিশিয়ে জুস তৈরি করে পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে।
অ্যালো ভেরা এবং আদার চা
দুপুর বেলার জন্য খুব ভালো পানীয় এটা। আদাতে আছে ফাঙ্গাস ও ব্যাক্টেরিয়া রোধী উপাদান। এটা হজমে সাহায্য করে ও শরীরের পানি জমার পরিমাণ কমায়। অ্যালো ভেরা ও আদা একসঙ্গে শরীরের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
কমলা, স্ট্রবেরি এবং অ্যালো ভেরার স্মুদি
স্ট্রবেরিতে ক্যালরির পরিমাণ কম এবং এটা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ। এটা ওজন কমাতেও সহায়তা করে। স্ট্রবেরি খুব ভালো পরিষ্কারক। কমলা, অ্যালো ভেরা ও স্ট্রবেরি একসঙ্গে খুব ভালো অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
হজমে সাহায্য করে
এই জুসে ‘ল্যাক্সাটিভ’ উপাদান থাকায় হজম প্রক্রিয়া সক্রিয় হয়। এটা প্রতিরক্ষী ব্যাক্টেরিয়াকে সক্রিয় রাখে এবং পয়ঃক্রিয়ায় সহায়তা করে। পেটে আলসারের সমস্যায় অ্যালো ভেরা জুস পানে উপকার পাওয়া যায়।
সংক্রমণ দূর করতে
এর প্রদাহরোধী উপাদান পেট পরিষ্কারের মাধ্যমে নানান সমস্যা দূর করে এবং সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।
বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে
অ্যালো ভেরার রস শরীরের বিষাক্ত উপাদান দূর করে। এতে থাকা পটাশিয়াম যকৃত ও কিডনিকে পরিশোধনের কাজে সহায়তা করে।
অ্যালো ভেরার জুস খাওয়ার উপযুক্ত সময়
অ্যালো ভেরার পানীয় খাওয়ার কোনো ক্ষতিকারক দিক নেই। তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। এক গ্লাস পানিতে ৫০ মি.লি. অ্যালো ভেরা জুস মিশিয়ে পান করা উচিত। অতিরিক্ত পান নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে যেমন- ইলেক্ট্রলাইট, পেশির টান, বমি বমিভাব এবং ডায়ারিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যদি এ ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দেয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
নিষেধ যাদের
‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অব ডার্মাটোলজি’র তথ্য অনুযায়ী, গর্ভবতী এবং যে সকল মা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান তাদের অ্যালো ভেরার জুস খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা থাকে। এই জুস খাওয়ার পরে কোনো রকমের অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিলে তা আর খাওয়া ঠিক হবে না।