নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষনার পর সোনারগাঁ আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারি ও রাজাকারের সন্তানদের বিরুদ্ধে জোড়ালো দাবি তোলে আসছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। তাদের প্রতিহত করার ঘোষনা দিয়ে দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরিন কোন্দল ভুলে এক মঞ্চে উঠে একাত্মতা প্রকাশ করেন সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুম দুলাল। তারা সবাই যে কোন মুল্যে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগকে রাজাকার পরিবার থেকে বাঁচাতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে প্রতিহত করে তাদের সভা-সমাবেশ করতে না দেয়ার ঘোষনা দেন। যার ফলশ্রুতিতে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ডাঃ আবু জাফর চৌধূরী বিরুর উদ্যোগে ওটমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেয়া জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে প্রতিহত করেন। সে সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদলকেও লাঞ্চিত করে। পরে বিরু বাধ্য হয়ে তার বাড়ীতে পুলিশি পাহারায় সংক্ষিপ্ত সম্মেলন করেন।

এদিকে, আহবায়ক কমিটিকে নিয়ে যখন উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতারা একাত্মতা প্রকাশ করে তাদের দাবি জোড়ালো করে মাঠে কাজ করছিলেন তখন সোনারগাঁ উপজেলার সাহাপুর এলাকায় সোনারগাঁ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ভবন উদ্বোধনে একজন মন্ত্রীকে পেয়েও তাদের কমিটির ব্যাপারে জোড়ালো কোন দাবি রাখতে দেখা যায়নি সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবুকে। তারা স্বাভাবিক ভাবে বক্তব্য রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি খেয়াল রাখার আহবান জানান মন্ত্রীকে। সেই অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগের কমিটি নিয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এসময় মাহফুজুর রহমান কালাম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকের কাছে রাজকার মুক্ত আওয়ামীলীগ দাবি করে বলেন, সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগকে নিয়ে রাজাকারের সন্তানেরা ছিনিমিনি খেলছে। আপনি আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যান্ত আস্থাবাজা। আপনার মাধ্যমে আমরা শেখ হাসিনাকে বলতে চাই সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের কোন অভিভাবক নাই, আমাদের এখানে মুরুবী নাই কোন সংসদ নাই। সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগের একটি শক্তিশালী সংগঠন থাকার পরও আমরা কোথাও যেতে পারি না কোন কথা বলতে পারি না। আজকে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ বুকে পাথর বেঁধে আছে। আমি আপনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে বিনীত অনুরোধ জানাতে চাই, সোনারগাঁয়ে যাতে কোন রাজকারের সন্তানরা আওয়ামীলীগকে নিয়ে ছিনিমিনি না খেলতে পারে সেই দিকটা আপনে খেয়াল রাখবেন এবং আগামী দিনে সোনারগাঁয়ের প্রতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আপনার যাতে সুদৃষ্টি থাকে সে জন্য আপনাকে অনুরোধ করছি।

অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী ও রাজাকার সন্তানের আনাগোনা নিয়ে উপস্থিত অনেক নেতা মন্ত্রীকে অবগত না করার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃনমুল নেতাকর্মীরা।