নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে সরকার, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা করোনা ভাইরাস সর্ম্পকে সাধারণ মানুষকে অবহিত করতে মাইকিং, লিফলেট ও স্যানেটাইজার বিতরন করছে। সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতনা করার জন্য প্রত্যেক ইউনিয়ন ও পৌরসভায় একটি ২০ সদ্যেস্যর কমিটিও করে দিয়েছে স্থাণীয় প্রশাসন। সে কমিটি বাজারে দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রন থেকে শুরু করে করোনা সর্ম্পকে গণসচেতনা তৈরী ও সাধারণ মানুষকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করবে। সেই নির্দেশের পর প্রত্যেকটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদেস্যরা মাঠে নেমে করোনা মোকাবেলায় কাজ শুরু করেছেন। সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিক্রম হয়েছে সোনারগাঁ পৌরসভা। আয়তনের তুলনায় পৌরসভাটি একটি ইউনিয়নের চেয়ে ছোট হলেও পৌরবাসীকে করোনা সর্ম্পকে গনসচেতনা ও প্রয়োজনীয় সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে কোথাও গনসচেতনা, লিফলেট ও প্রয়োজনীয় স্যানিটাইজার ও প্রয়োজনীয় নাগরিক সেবা দিতে দেখা যায়নি পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান ও তার কাউন্সিলরদের। দেশের ক্রান্তি লগ্মে পৌরবাসী পৌর মেয়র ও তার কাউন্সিলরদের না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

জানাগেছে, করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বের মহামারি হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের এ রোগের প্রাদুর্ভাবের সাথে সাথে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। রোগটি যাতে মাহামারি আাকারে রূপ ধারন করতে না পারে সেজন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী ও বেসরকারী অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গনপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জনসাধারনকে সচেতন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জনপ্রতিনিধিদের কাজ করার জন্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রকে সভাপতি করে একটি কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি করোনা সর্ম্পকে স্থাণীয় সাধারণ জনগনকে সচেতন ও প্রয়োজণীয় সেবা প্রদান করবে। সেজন্য উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন। তারা মাইকিং থেকে শুরু করে করোনা মোকাবেলার প্রয়োজনীয় উপকরন সরবরাহ করেছেন। কিন্তু সোনারগাঁও পৌরসভার পক্ষ থেকে পৌরবাসীকে সচেতন করার জন্য তেমন কোন প্রদক্ষেপ গ্রহন করেনি বলে অভিযোগ করেছেন পৌরবাসী।

তারা জানান, পৌরসভার নাগরিক হিসেবে করোনা সচেতনার জন্য পৌর মেয়র কিংবা তার কোন প্রতিনিধি আমাদের কাছে আসেননি। এমনকি করোনা প্রতিরোধে পৌর এলাকায় কোন জীবানু নাশক ছিটানো হয়নি। এমন কি সাধারন গরীব লোকদের একটি মাস্ক পর্যন্ত প্রদান করেনি পৌরসভা। এছাড়া ভবিষ্যতে এ ভাইরাস প্রকোপ আকার ধারণ করলে পৌরবাসী কি ধরনের সেবা পাবে পৌরসভা থেকে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কারন হিসেবে তারা বলেছেন পৌরসভায় রয়েছে উপজেলা, থানা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সে কারনে পৌরসভার বাহিরাগত লোকজনের সংখ্যাও বেশী। ফলে প্রয়োজনীয় সেবা না পাওয়ায় করোনার মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে পৌরবাসী।

তবে, পৌরসভা প্রশাসন জানিয়েছে, আজ শুক্রবার বিকালে পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে এলাকায় জীবানু নাশক ছিটানো হয়েছে।