নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের পানাম গাবতলী এলাকার দীর্ঘদিন যাবত একটি সেতুর মাঝখান দিয়ে ভেঙ্গে পড়ায় জীবনের ঝুকি নিয়ে যান চলাচল করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থাণীয়রা। তারা জানান সেতুটি মেরামত করার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে জানালেও মেরামতের কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছেনা।
জানাগেছে, বৈদ্যেরবাজার এনএএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পানাম গাবতলী হয়ে ষোলপাড়া দিয়ে সোনারগাঁও পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদে যাওয়ার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পানাম গাবতলী এলাকায় করবস্থানের পাশে দীর্ঘদিন যাবত একটি ব্রিজের মাঝখান দিয়ে ঢালাই ভেঙ্গে গিয়ে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়ে আছে। এই ব্রীজটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক যাতায়াত করতে গিয়ে অন্ধকারে অনেকেই মারাতœকভাবে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাছারা অটোরিক্সা,সিএনজি এমনকি কেউ অসুস্থ হলে এ্যাম্বুলেন্স বা কোন ছোট প্রাইভেটকারও এই ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সবচেয়ে ঝুঁকিতে চলাচল করছে বয়স্ক ব্যাক্তিরা ও কোমলমতি পাশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট্ট শিশুরা। দীর্ঘদিন যাবত ব্রিজটি মাঝখান দিয়ে ভাঙ্গা অবস্থায় থাকলেও তার মেরামতে এগিয়ে আসছেনা সংশ্লিষ্টরা।
স্থাণীয় বাসিন্দা ফজলুল হক জানান, এ ব্রিজটি দিয়ে গাবতলী ও পানাম পৌরসভার এলাকাসহ কয়েকটি এলাকার কয়েকশ লোক চলাচল করে। ঠিকাদারের নিম্ন মানের কাজের জন্য ব্রিজটি দীর্ঘদিন যাবত মাঝখান দিয়ে ঢালাই ভেঙ্গে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে যানবাহনের চাকা পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনায় ঘটে। এছাড়া বয়স্ক ও ছোট ছোট শিশুরা প্রায়ই গর্তে পা পড়ে দুঘটনায় শিকার হয়। এ ছাড়া পানাম ও গাবতলী এর আশেপাশের এলাকাগুলো কৃষি নির্ভর হওয়ায় কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বা বর্তমানে মৌসুমী ফল আম, জাম, লিচু এসব পরিবহণের ক্ষেত্রেও বিরাট সমস্যা ভোগ করছে কৃষকরা।
এ বিষয়ে স্থানীয় বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ আব্দুর রউফকে ফোন করলে তিনি জানান, পানামগাবতলী ব্রীজের বিষয়ে আমি জানতে পেরে আমার ওয়ার্ড মেম্বার ইসমাঈলকে বলেছি কি কি লাগবে দেখে আসতে। আমি দ্রুত এই ব্রীজটি মেরামত করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।