নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: গ্রীস্ম-বর্ষায় সবজির উৎপাদন কম হয়, দামও বেশি থাকে। এটা স্বাভাবিক প্রবণতা। তবে এবার করোনার কারণে গ্রীষ্মে সবজির দাম তলানিতে নামলেও শীতে চিত্র একেবারে ভিন্ন। স্বাভাবিক বাড়তি দরের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। তাও দীর্ঘসময় ধরে। অতিবৃষ্টি ও বন্যায় সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবার সারা বছরই সরবরাহ বাড়েনি, দামও কমেনি। যাঁরা বাজারে গিয়ে ব্যাগভর্তি ঝিঙে, চিচিঙ্গা কেনার বদলে আলু কিনে ফিরতে চেয়েছিলেন, তাঁরাও হতাশ। বাজারে এখন আলুর দামও বেশি, প্রতি কেজি ৫০ টাকা।
‘সাধারণত ১৫ অক্টোবর থেকে শীত মৌসুম শুরু হয় বলে আমরা ধরে নিই। তবে অনেক সবজিই এখন সারা বছর আবাদ হয়। এটা শেষ হলে আরেকটা শুরু হয়।’ এরই মধ্যে শীতের আগাম সবজির আবাদ শুরু হয়েছে। কিন্তু যে ভাবে শীত ঝুঁকে বসেছে সে ভাবে কমছেনা শীতকালের সবজির বাজার।
সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা যায় শীতে প্রচুর পরিমান শাক-সবজির আমদানী থাকলেও দাম তুলনামুলক ভাবে কমছেনা কোন শাক সবজির দাম। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কচুর ছরি প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, জলপাই ৬০ টাকা, টমোটো ১০০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিছ ৪০ টাকা. ওইস্তা ৬০ টাকা, কহি ৫০ টাকা, কালো বেগুন ৫৫ টাকা, সাদা বেগুন ৫৫ টাকা, সিম ৬০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, শষা ৪৫ টাকা, বটবটি ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকা, ধনিয়া পাতা ১৫০ টাকা, বাধা কপি ৪০ টাকা, কাঁচা কলা ৫০ টাকা হাড়ি, জিঙ্গা ৬০ টাকা, ঢেড়স ৬০ টাকা পেপে ৩৫ টাকা পটোল ৬০ টাকা, লেবু হালি ৪০টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা।
এছাড়া লাল শাক প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পুই শাক ৫০ টাকা , মুলো শাক ৫০ টাকা, লাউয়ের ৩ পিছ ডগা ৫০ টাকা, পালংশাক শাক ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।