নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে হাঁটতে গিয়ে ভিড়ের কারণে প্রত্যেকেই যেন হাঁপিয়ে উঠছেন। তবে থেমে নেই, সবাই ছুটছেন পছন্দের পোশাকের সন্ধানে। মার্কেটগুলোতে রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়।
ভিড়ের কারণে ক্রেতার সঙ্গে বেশিক্ষণ কথা বলারও সুযোগ পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। এর মধ্যেই পছন্দের কাপড় কিনছেন ক্রেতারা।
ঈদের বাকি প্রায় ১৬ দিনের মতো। ঈদের আগ মুহূর্তে কেনাকাটা করতে গেলে নানা ভোগান্তি পোহাতে হয় বলে অনেকেই এখনই কেনাকাটা সেরে ফেলছেন। রোজার শুরুতে লক ডাউন থাকায় মার্কেট খোলার সাথে সাথেই ছেলে মেয়ে নিয়ে ভীড় করছেন দোকানেগুলোতে। মার্কেটে ছেলে মেয়ে নিয়ে জামা কাপড় কিনতে আসা কথা হয় ব্যবসায়ী তাইজুদ্দিনের সাথে।
তাইজুদ্দিন জানান, ‘আজই সব কেনাকাটা শেষ করব। লক ডাউন শিথিল করলে যানবাহন চলাচল শুরু জলে ঈদে গ্রামের যাব। বাবা-মা, ভাই-বোনসহ পরিবারের সবার জন্যই কেনাকাটা করবো।’
ঈদের বাকি এখনও বেশকিছু দিন, এখনই আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আজকেই বেটার (ভালো) মনে হয়েছে। পরে তো ভিড় হবে।’
পরিবারের সবার নতুন পোশাক কেনা অনেকের পক্ষে একদিনে সম্ভব হয় না। এ জন্য একাধিক দিন মার্কেটে আসতে হয়। এ ক্ষেত্রে অনেকেই অবসর সময় টুকু বেছে নেন।
মোগরাপাড়া চৌরাস্তার মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, মেয়েদের পোশাকের দোকানে তুলনামূলক ভিড় বেশি। তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেই বলে দিচ্ছেন, ব্যস্ততার কারণে কথা বলার মতো সময় নেই।
তবে ক্রেতাদের উপস্থিতি থাকলেও দোকানিদের দাবি বেচাকেনা তুলনামূলকভাবে ভালো না। মার্কেটে মানুষ আসছে, কিন্তু বেচাকেনা কম। কিনতে আসছেন একজন, কিন্তু সঙ্গে চার-পাঁচজন করে আসছেন।’
মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার ঈশা খাঁ প্লাজার প্লাস পয়েন্টে দোকানে সব ধরনের পোশাক বিক্রি হয়। দোকানের মালিক বলেন, ‘বেচাকেনার কথা আর কইয়েন না।লোকজন আসছে কিন্তু বেচাকেনা তেমন হচ্ছে না। জানি না কেন এমন হচ্ছে। গরমের কারণেও হতে পারে।’
অপরদিকে, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ফুটপাতে চলছে হরদম বেচাকেনা। ফুটপাত বিক্রেতারা জানান, মূলত ঈদের বেচাকেনা শুরু হয়েনি। বেচাকেনা মোটামুটি ভালো।