জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) বজলুর রশীদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রায়ে আসামিকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, রায় ঘোষণার পর বজলুর রশীদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিন বছর আগে ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বজলুর রশীদকে গ্রেপ্তার করে দুদক। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এজাহারে আসামির বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। আর ওই বছরের ২২ অক্টোবর বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
যুক্তিতর্কের সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে গঠিত অভিযোগপত্রে বলা হয়—বজলুর রশীদ রূপায়ণ হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরোনো) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২ হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। এর মধ্যে তিনি অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন।
এ অ্যাপার্টমেন্ট কেনা বাবদ বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন তার সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয়সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে ঘোষণা দেননি। পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।