নিউজ সোনারগাঁ টু্য়েন্টফোর ডটকম: দিন শেষ হলেই খুশির ঈদ। ঈদের খুশিকে সবার মাঝে বিলিয়ে দিতে পরিবারের কর্তাদের চেষ্টার শেষ নেই। ঈদ উপলক্ষে যে যার সাধ্যমতো কাপড় চোপড় কেনা কাটার পর আসেন একটু ভাল খাবার কেনার দোকানে। সেই খাবারের সাথে যোগ করতে হয় একটু মাংস। আর এই মাংস কিনতেই নাভিস্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। আজ বুধবার সকালে সোনারগাঁয়ে বাজারগুলোতে লক্ষ্য করা গেছে এসব চিত্র। সরেজমিনে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা, উদ্ধবগঞ্জ বাজার এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে বাজারে মাংসের বাজারে ক্রেতাদের ভীড়। কোন দোকানে দাড়ানোর জায়গায় নেই। একটা মাংসের দোকানে ৪/৫ জন লোক মাংস কাটা ও বেচতে ব্যস্ত রয়েছে। ক্রেতারা মাংসের দোকানে গিয়ে মাংস টিপে রং ও গরুর দাত দেখা ও বুঝার চেষ্টা করছেন। অনেক ক্রেতা এক দোকান থেকে ঘুরছে আরেক দোকানে ঘুরছেন কম দামে আসায়। কিন্তু ক্রেতাদের ভাগ্যে জুটছেনা কমদামে মাংস ফলে অনেকে ভীড় করছেন মুরগীর দোকানে। মুরগীর দোকানে গিয়েও দাম শুনে কপালে ভাজ পড়েছে ক্রেতাদের। বয়লার মুরগী গত সপ্তাহে ছিল ১৯০-২০০ টাকা সেই বয়লার মুরগী আজ ২৭০ টাকা, সোনালী ছিল ৩১০টা সেটা আজ বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা।
মুরগীর দোকানে মুরগী কিনতে আসা ক্রেতা মহিউদ্দিন জানান, তিনি একটি বে সরকারী কোম্পানীতে চাকরী করেন, তিনি যে টাকা বেতন পেয়েছেন সে টাকা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের জন্য টুকিটাকি কাপড় চোপড় কিনেছেন এখন আসছেন চাল, ডাল, সেমাই ও মাংস কিনতে। চাল ডাল কিনে এখন তিনি এসেছেন মাংসের দোকানে কিন্তু তার যে আয় সে টাকা দিয়ে এক কেজি গরুর মাংস কিনা কস্টকর আবার এক কেজি গরুর মাংস তার পরিবারের একবেলা হবে না সেজন্য চিন্তা করছেন মুরগী কিনবেন। মুরগীর বাজারে গিয়েও তিনি হতাশ প্রতি কেজি বয়লার মুরগীতে বেড়েছে ৭০/৮০ টাকা। তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন, ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ। এটা আসলে বড় লোকের জন্য গরীরের ঈদ মানে বুক ফাটা আর্তনাদ প্রতিটি পরিবারের কর্তাদের।
মুরগী ব্যবসায়ী রফিকুল জানান, ঈদকে সামনে রেখে মুনাফা ভোগী ব্যবসায়ীরা ফার্মেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছে আমরা তাদের কাছ থেকে এনে কেজিতে ১০টাকা লাভে বিক্রি করি। তিনি জানান, গত দুই দিন ধরে মুরগীর দাম বেড়েছে।