নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের টিপুরদী থেকে দাফনের ১০ দিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার আসাদুল্লাহ নামের এক ব্যাক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটায় সোনারগাঁ থানায় এক সিএনজি চালক তাকে উদ্ধার করে সোনারগাঁও থানায় নিয়ে আসে। শুক্রবার বিকেলে সোনারগাঁ থানা পুলিশ সরাইল থানার এসআই জাকির হোসেন খন্দকারের কাছে আসাদুল্লাহকে হস্তান্তর করেছেন।
সোনারগাঁও থানার ওসি মোরশেদ আলম পিপিএম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার অরুয়াইল ইউনিয়নের অরুয়াইল গ্রামের হাজী আলী আকবরের ছেলে আসাদুল্লাহকে ৯ অগাস্ট সরাইলের গ্যাসফিল্ড রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গুম করা হয়েছে অভিযোগ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তার মেয়ে মোমেনা বেগম বাদী হয়ে অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাপ্তান মিয়াকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ৬ সেপ্টেম্বর অরুয়াইল ও সরাইল থানার মাঝামাঝি এলাকার চুন্টা কৈবর্তপাড়ার একটি বিল থেকে অর্ধগলিত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে। ওই লাশ আসাদুল্লাহর হিসেবে শনাক্ত করেন তার পরিবারের লোকজন। পরে ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন করেন। লাশ দাফনের ১০ দিন পর তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) জাকির হোসেন খন্দকার বলেন, আসাদুল্লাহর অপহরণ, লাশ উদ্ধার নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। আসাদুল্লাহর লাশ দাফনের পরদিন তার মেয়ে মোমেনা আক্তার বাদী হয়ে অপহরণের পর হত্যা এবং লাশ বিলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। সেখানে শফিকুল ইসলাম ও কাপ্তান মিয়াসহ সাত জনকে আসামি করা হয়।
তিনি আরো জানান, আসাদুল্লাহ ধূর্ত প্রকৃতির লোক। তাকে সোনারগাঁও থানা থেকে আমাদের হেফজতে নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।