নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
আগামী ৩১ শে মার্চ সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে সোনারগাঁ থেকে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম রূপন মাইক প্রতিক, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর লড়ছেন চশমা প্রতিকে, বাবু ওমর টিউভওয়েল, সাংবাদিক শাহজালাল বই প্রতিক ও মনির হোসেন উড়োজাহাজ প্রতিক নিয়ে। মাঠে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্ধিনিদ্ধতা করলেও নির্বাচনে লড়াই হবে শিক্ষানুরাগী আবু নাঈম ইকবাল ও প্রভারশালী বাবু ওমরের মধ্যে।
সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিক্ষানুরাগী আবু নাইম ইকবাল তালা প্রতীকে ভোট চাইতে প্রতিদিন ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। এছাড়া একই পদে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রভাবশালী প্রার্থী বাবুল ওমর বাবুও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।
জনমত জরীপে জানা যায়, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থীর মধ্যে আবু নাইম ইকবাল ও বাবুল ওমর বাবুকে নিয়েই ভোটারদের মাঝে আলোচনা চলছে। সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আবু নাইম ইকবাল বিগত ৫ বছর স্থানীয় এমপির সাথে উন্নয়ন কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া তিনি উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক হওয়ায় ব্যক্তিগত অর্থায়নে উপজেলার শিক্ষা ও ক্রীড়া ক্ষেত্রেও ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।
মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানা সহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আবু নাইম ইকবালের উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারবৃন্দ সহ উপজেলার শিক্ষিত ও তরুণ সমাজ এবং সাধারণ ভোটারদের সমর্থন রয়েছে তার প্রতি।
অন্যদিকে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল ওমর বাবু কাঁচপুরের একজন প্রভাবশালী নেতা। গত সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তার নেতৃত্বে কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পারভেজের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণ করা হয়েছিলো। এছাড়া তার ভাই মোশারফ ওমর কাঁচপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হওয়ার পর কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড ও ফুটপাত থেকে শুরু করে মিল কারখানাগুলো বাবুল ওমর বাবুর দখলে চলে যায়। ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে বাবু ওমরের কর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্য প্রার্থীদের পোস্টার লাগাতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে থানায় একটি মামলাও হয়েছে।
ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়তা থাক বা না থাক, বাবু ওমর ক্ষমতার জোড়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার চেষ্টা চালাবেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রার্থীদের মত বিনিময় কালে দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এই আশঙ্কার কথা তুলে ধরেছিলেন।
এসময় সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির তার বক্তব্যে বলেন, কেউ জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে তার হাত ভেঙে গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।