নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরের মঞ্জিলখোলা এলাকায় মিনু আক্তার (৩০) নামে এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার ১৭ দিন পর মাটিচাপা মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
হত্যাকারী ও ধর্ষক জুনায়েদ আহমেদকে আটকের পর শুক্রবার (০৭ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। র্যাব-১১ এর সিনিয়র এএসপি আলেপ উদ্দিন বিষয়টি জানান।
তিনি জানান, গত ২১ মে মিনুকে ধর্ষণের পর হত্যাকরে মাটিচাপা দিয়ে মরদেহ গুম করে জুনায়েদ। বিষয়টি র্যাবকে জানানো হলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘাতক জুনায়েদকে আটক করা হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৭ দিন পর তাকে সঙ্গে নিয়ে মাটিখুঁড়ে মিনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
সোনারগাঁ থানার এসআই ফয়সাল জানান, মিনুর সাথে জুনায়েদের ৪ বছর আগে বিয়ে হয়। ওই বিয়ের আগে মিনুর স্বামীর ৩টি সন্তান ছিল। অপরদিকে জুনায়েদেরও ৩টি সন্তান ও স্ত্রী ছিল। তারা দুজনই পরিবারকে না জানিয়ে তাদের বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখে। এদিকে ৪ বছর গোপনে সংসার করার পর এক বছর আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কিন্তু গোপনে মিনু ও জোনায়েত প্রায় প্রায় জুনায়েতের বাড়িতে মিলত হত। গত ২১ তারিখে মিলনের জন্য জুনায়েত ফের মিনুকে তার বাড়িতে ডেকে এনে মিনুুুুকে ধর্ষণ করে। পরে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
এর জের ধরে জুনায়েত মিনুর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে জুনায়েত তার গলাটিপে হত্যা করে লাশ পাশের বাড়ীর বালুর মাঠে মাটি চাপা দিয়ে রাখে। এদিকে মিনু নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তার মা মনোয়ারা বাদি হয়ে গত মাসের ২১ তারিখে সোনারগাঁ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। ডায়েরীর জের ধরে সোনার থানা পুলিশ ও র্্যাব মিনুর সাবেক স্বামী জুনায়েতকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে ১৭ দিন পর পাশের বাড়ী মোস্তফার বালুর মাঠ থেকে মিনুর মাটি চাপা লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুুুতি চলছে।