নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের (শোকজ) জবাব দিলেন বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সোনারগাঁ আহবায়ক কমিটিতে অব্যহতি পাওয়া লায়ন মাহবুবর রহমান বাবুল। একই সাথে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এড . শামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার কাছে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সেই শোকজের জবাবের লিখিত পত্র তুলে দিয়েছেন তিনি। জবাবের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই এবং সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল বরাবরও।
শোকজের জবাবের লিখিত পত্রটি হাতে পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এড . শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, জেলা কমিটি যেহেতু তাকে অব্যাহতি দিয়েছে সেহেতু আমি এই পত্রটিকে জেলা আওয়ামী লীগের কাছে পৌঁছে দিবো। জেলার নেতারা যেটা ভালো মনে করেন সেটা করবেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়নটির পাইকপাড়া দেওয়ান বাড়ির বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিলে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে মাহবুবুর রহমান বাবুল ওরফে লায়ন বাবুল বলেছিলেন, ‘আমি বারদীর ম্যাজিস্ট্রেট, প্রধানমন্ত্রী বারদী আসলেও আমার হুকুম লাগবে’। এই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠে। এক পর্যায়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি মাহবুবুর রহমান বাবুলকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। একই সাথে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনার পর ২২ ফেব্রুয়ারি সেই শোকজের লিখিত ভাবে জবাব দিয়েছেন লায়ন মাহবুবর রহমান বাবুল।
জবাবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ভুলবশতঃ অনিচ্ছকৃত অপ্রত্যাশিতভাবে ভাষাগত ত্রুটিপূর্ণ একটি কথা মুখ ফসকে বলে ফেলি। নিজের ভুল বুঝতে পেরে আমার হৃদয়েও রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার পূর্বক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সমগ্র জাতির কাছে আমি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। যথাযথ সতকর্তা ও প্রশিক্ষণের অভাবে আমি এ রকম ভুল কথা বলেছি। তাই বিশ্ব মানবতার জননী শেখ হাসিনা সমীপে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করেছি।’