নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার এনএএম উচ্চ বিদ্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নথিরুমে রহস্যজনক আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌচ্ছে। এর আগে স্থানীয়রা নিজেদের প্রচেষ্ঠায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এরমধ্যে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন। তিনি ঘটনাস্থলে আসলে স্থানীয়রা আগুন লাগার পিছনে তার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে তাকে মারধর করেনন।
জানাগেছে, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার এনএএম উচ্চ বিদ্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার ৭টার দিকে নথিরুমে আগুন দেখতে পায় পথচারীরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ১ঘন্টা খানেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এদিকে খবর পেয়ে সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিসে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। খবর পেয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ঘটনাস্থলে আসলে স্থানীয় লোকজন আগুন লাগার পিছনে তার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে তাকে মারধর শুরু করে। পরে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তবর্গ তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
স্থানীয়রা জানান, আজ বৈদ্যেরবাজার এনএএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক আয় ব্যয়ের হিসাব নিকাশের করার কথা ছিলো। এর মধ্যে হিসাব-নিকাশের আগের রাতেই নথিরুমে আগুন লেগে কাগজ পত্র পুড়ে যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তারা বলেন, কামাল হোসেন ভুয়া কাগজ পত্রের মাধ্যমে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হয়েছেন। তিনি বিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে অনেক হিসাব গড়মিল করে অর্থ আত্নসাৎ করেছেন। আজ বুধবার তার সকল আয় ব্যয়ের হিসাব দেয়ার কথা ছিলো। হিসেবে গড়মিল হবে বিধায় তিনি ইচ্ছা করে কাউকে দিয়ে নথিরুমে আগুন দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বৈদ্যেরবাজার এএনএম প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেননি।