নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: আজকের দিনটি বাদ দিলে ঈদের আগে আর মাত্র একটি শুক্রবার। তাই ঈদের কেনাকাটা করতে আজকে যেনো মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় নেমেছিলো মানুষের ঢল।
সোনারগাঁয়ের অভিজাত বিপনী বিতান থেকে ফুটপাত সব জায়গাতেই যেন ক্রেতা বিক্রেতার হাল ডাকে জমে ওঠে।
বিক্রেতাদের কথা বলার সামান্য সময় নেই। সকাল থেকেই ক্রেতাদের সমাগম ঘটতে থাকে।
উপজেলার কাঁচপুর, মোগরাপাড়া ও মদনপুর এলাকার বিপনি বিতানগুলোতে ভিড় ছিলো উপচে পড়া।
এক কথায় বলতে গেলো, গতকাল ছুটির দিনে গোটা সোনারগাঁয়ে পরিণত হয়েছিল ঈদ বাজারে। ছোট বড় সব মার্কেট, ফ্যাশন হাউস, পাড়া মহল্লায় গড়ে ওঠা কাপড়-কসমেটিকসের দোকান, জুতার দোকান, পাঞ্জাবির দোকান, ফুটপাত সবখানেই ছিল ক্রেতাদের ভিড়।
এদিকে বোনাসও পেয়ে গেছেন অনেক চাকরিজীবী। তারাও বেশ খুশি মনেই বেরিয়েছেন ঈদের কেনাকাটা করতে। আর বেচাকেনা ভালো হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মুখেও ছিল সন্তুষ্টির হাসি। তারা জানান, এখন দেখাদেখির সময় শেষ। যারাই মার্কেটে আসছেন তারাই প্রয়োজনীয় ও পছন্দের জিনিসটি কিনে নিচ্ছেন।
এদিকে ক্রেতাদের নিয়ে আসা যানবাহনের ভিড়ে মার্কেটগুলোর সামনে ও আশপাশের এলাকায় দিনভরই লেগে ছিল কিছু না কিছু যানজট।
মোগরাপাড়া বিগ বাজারের ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন জানান. সকাল ১০টা থেকেই দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতারা আসতে শুরু করছে। ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে সময়ের একটু আগেই দোকান খুলেছেন।
তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরেই ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় ভিড় অনেক বেশি। তার মতে ঈদ যতো ঘনিয়ে আসবে ভিড় ততই বাড়বে।
কথা হয়, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কর্মাস ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে। সে জানায়, ঈদের কেনাকাট যা করার তা আজকালের মধ্যে শেষ করতে হবে। এর পরে আর সময় পাওয়া যাবে না। তাছাড়া শেষ মূহুর্তে এসে ভিড়ে কেনাকাট করাটাও দুস্কর হয়ে যায়।
কয়েকটি মার্কেট সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শাড়ি, পাঞ্জাবি ,মেয়েদের পোশাকের দোকান, এবং নতুন কাপড়ের সঙ্গে মিলিয়ে জুতা, এক্সেসরিজ ও কসমেটিকসের দোকানগুলোতেই তুলনামূলক ভিড় বেশি। দোকানীরা জানায়, এ ধরনের পণ্যই বেশি বিক্রি হচ্ছে।