নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের দক্ষিনপাড়া গ্রামে দুই পক্ষের ঝগড়া থামাতে গিয়ে দুই পক্ষের দফায় দফায় হামলায় নারীসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেছে দুই পক্ষ। আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আহতরা হলেন সনমান্দি দক্ষিনপাড়া গ্রামের সালে মুছার ছেলে সৈকত (২৫) তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার বৃষ্টি ও তার ছোট ভাই রায়হান।
আহত সৈকতের স্ত্রী সোনিয়া জানান, সনমান্দি ইউনিয়নের দক্ষিনপাড়া গ্রামের আনার মিয়ার ছেলে নাঈমের সাথে তার স্ত্রী রুনির পারিবারিক দ্বন্ধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সকালে নাঈমের শাশুরী রহিমা (৫০) তার সাথে মৌসুমী (৪৫) মিলে নাঈমকে শাসাতে যায়। এ নিয়ে দুই পক্ষের ঝগড়া শুরু হয়। এসময় পাশের বাড়ির সৈকত তাদের ঝগড়া থামাতে গেলে সে কেন এখানে এসেছে এ নিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে নাঈমের বাবা আনার তার শাশুরী রহিমা ও মৌসুমী মিলে মারধর করে। এ সময় তাকে বাঁচাতে সৈকতের স্ত্রী সোনিয়া ও ছোট ভাই রায়হান এগিয়ে আসতে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে নাঈমের পিতা আনার শাশুরী রহিমা ও মৌসুমী এসে স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের ভেতর থেকে টেনে হেচড়ে সৈকতকে বাহিরে বের করে সকলের সামনে আরেক দফা পিটিয়ে আহত করে। এসময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত অন্যান্য লোকজন এগিয়ে এসে সৈকতকে রক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে বুঝিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
আহত সৈকত জানান, আমি নাঈমের বাবা ও শ্বাশুরীর ঝগড়া থামাতে যাওয়ায় তারা উল্টো কেন এসেছি সে জন্য প্রথমে বাড়িতে এরপর হাসপাতালে এসে পিটিয়ে আহত করেছে। পরে জানলাম তারা আমাকে পিটিয়ে আমার বিরুদ্ধে উল্টো থানায় অভিযোগ দিয়েছে।