নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: বন্দরে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে বাড়ি সামনে থেকে টেনে হেচড়ে বিলের মধ্যে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষনের ঘটনায় হানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষনিক মুছাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে লম্পট ধর্ষক শামীম (২৫) কে আটক করতে সক্ষম হলেও পালিয়ে গেছে ধর্ষনের সহয়তাকারি অজ্ঞানামা আরো দুই জন। এর আগে গত ২৭শে ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় সাড়ে ৬ টায় বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের চরগ্রাম বিলের মেহার মাহাবুব মিয়ার জমির মধ্যে এ ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা কিশোরী মা বাদী হয়ে আটককৃত ধর্ষক শামীমসহ ধর্ষনের সহয়তাকারি অজ্ঞাত নামা ২ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং -৪৩ (২) ২২।
আটককৃত লম্পট শামীম বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের চরগ্রাম এলাকার জোহা মিয়ার ছেলে।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে , গত রোববার সন্ধ্যায় ১৫ বছরের কিশোরী তার মামার বসত ঘরের পশ্চিম কোনায় দাঁড়িয়ে থাকাবস্থায় একই এলকার জোহা মিয়ার ছেলে শামীম উক্ত কিশোরীকে মুখ চেপে ধরে এবং তার দুই সহযোগী ভুুক্তভোগী কিশোরী দুই হাত ধরিয়া টানাটানি করে জের পূর্বক চরগ্রাম বিলে নিয়ে যায়। পরে লম্পট শামীম চরগ্রাম হিলের জনৈক কিশোরী মাহাবুব মেম্বারের জমিতে নিয়ে উক্ত কিশোরীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। সে সাথে অজ্ঞাতনামা ২জন পাহারায় থাকে। এই সময় কিশোরী চিৎকার চেঁচামিচি করলে ওই সময় লম্পট শামীমসহ অজ্ঞাত নাম আরে দুই দৌড়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরী মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগ পেয়ে কামাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ ধর্ষক শামীমকে আটক করতে সক্ষম হলেও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছে আরো অজ্ঞাত নামা ২ বন্ধু। পরে পুলিশ বর্ষিতা কিশোরীকে উদ্ধার করে সোমবার সকালে ডাক্তারি পরিক্ষার পর ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে। সে সাথে আটককৃত লম্পট ধর্ষক শামীমকে সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে।