• রাত ৪:০৮ মিনিট বৃহস্পতিবার
  • ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : গ্রীষ্মকাল
  • ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
সোনারগাঁও পৌরসভায় কালামের কেন্দ্র কমিটির সভা সোনারগাঁয়ে বিশ বছর পর বাকপ্রতিবন্ধী ভাইকে ফিরে পেলেন তার বড় ভাই মাহফুজুর রহমান কালামকে বিজয়ী করেতে জামপুরে আলোচনা সভা সোনারগাঁয়ে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন ৫ প্রার্থী সোনারগাঁয়ে ভবন ঘেঁষে মাটি খনন, ভেঙ্গে পড়লো পাশের স্থাপনা কালাম একমাত্র যোগ্য প্রার্থী, উপজেলা নির্বাচনে তাকে ভোট দিন: ডা. বিরু সোনারগাঁয়ে সার্বজনীন পেনশন মেলা ও স্পট রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্ধোধন বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বউয়ের মামলা সোনারগাঁয়ে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ, ৪ জন বাতিল সোনারগাঁয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যুবককে অপহরন করে নির্যাতনের অভিযোগ সানাউল্লাহকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে হত্যা চেষ্টা ও ১৫ মামলার আসামী গ্রেপ্তার বন্দরে ইউএনও অফিসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যের আত্মহত্যা সোনারগাঁয়ে ২দিন ধরে মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ সোনারগাঁয়ে দুই ব্যাক্তি আটক, ৪৯ লাখ জাল টাকা উদ্ধার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আজিজুল ইসলাম মুকুল সোনারগাঁয়ে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৪ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল তাপদাহের প্রভাব পড়েছে সোনারগাঁয়ের বাজার ও মার্কেটগুলোতে মাহফুজুর রহমান কালামের নির্বাচনী প্রচারনায় নেতাকর্মীর ঢল সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুল চিকিৎসায় নারীর মৃত্যুর অভিযোগ সোনারগাঁ থেকে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হলেন পিতা-পুত্র
আত্মত্যাগের কোরবানীই আসল কোরবানী… মঈন চিশতী

আত্মত্যাগের কোরবানীই আসল কোরবানী… মঈন চিশতী

Logo


নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: ‘লাইঁইয়ানাল্লাহু লুহুমুহা ওয়ালা দিমাউহা ওয়ালাকিন ইয়ানালাল্লাহু তাকওয়া মিনকুম আল্লাহ বলেন কোরবানীর পশুর রক্ত-মাংস কিছুই আল্লাহর নিকট পৌঁছেনা পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া বা কোরবানীর বিশুদ্ধতা।কোরবানী শব্দের অর্থই হলো যা কারো নিকটবর্তী করে দেয়। কুরবানী আরবী ক্বুরবুন ধাতু হতে উদ্গত।ঈদ অর্থ উৎসব। কোরবানীর ঈদকে আমরা ঈদ উল আযহা বা ঈদোজ্জাহা বা পূর্বাহ্নের ঈদ।কবি নজরুলের ভাষায় “ঈদুজ্জোহার চাঁদ হাসে ঐ এলো আবার দোসরা ঈদ//কোরবানী দে কোরবনী দে শোন খোদার ফরমান তাকিদ”। আমাদের কোরবানী তাকওয়া ভিত্তিক হয়না বলেই সূফী কবিরা গেয়ে উঠেন “কোরবানী করিতে হুকুম প্রাণপ্রিয় ধন//গরু ছাগল হইলো কী তো এতো প্রিয়জন। নিজের থেকে প্রিয় বস্তু আর যে কিছু নাই//আত্মত্যাগই আসল কোরবান জেনে নিও ভাই। দশ ইন্দ্রিয় ছয়টি রিপু পারলে দমন কর গো… অন্তরে রাইখো আল্লাহর ডর//যদি আল্লাহর সন্ধান চাও গো প্রেম রাখিও অন্তরের ভিতর…। আমাদের এই প্রেমভিত্তিক কোরবানী দিতে হবে। এবাদতের ক্ষেত্রে আমরা যা কিছুই করিনা কেন সেটা হতে হবে শুধুমাত্র লিল্লাহিয়ত বা আল্লাহর জন্য। নবী ইব্রাহীম আ.এর কোরবানীঃ আসুন দেখি ইব্রাহীমি কোরবানীর চেতনা কী ছিলো আর বর্তমানে কোন চেতনায় কোরবানী দিচ্ছি।ইব্রাহীমি চেতনা ছিল ‘ইন্না সালাতি আমার নামাজ ওয়া নুসুকী আমার কোরবানী ওয়া মাহ্‌ইয়ায়া আমার জীবন ওয়া মামাতি আমার মৃত্যু লিল্লাহে রাব্বিল আলামীন সকল জাহানের প্রতিপালকের জন্য’।কিন্তু এখন আমরা কোন চেতনায় নামাজ রোজা হজ্ব যাকাত আর কোরবানী করছি।চক্ষু বন্ধ করে ভাবুন এর জবাব পেয়ে যাবেন।উত্তর বঙ্গের অর্ধেকের বেশী বন্যায় তলিয়ে গেছে এই অবস্থায় আমাদের আলেম উলামা আমলা সূধীজনেরা রাষ্ট্রীয় টাকা প্রায় ৪০০ জনের বহর নিয়ে হজ্ব তদারকির জন্য সৌদি যাচ্ছেন। এই রাষ্ট্রীয় হজ্বযাত্রায় রাষ্ট্রীয় কোষাগারের প্রায় ২০ কোটি টাকা খরচ হবে।জরুরী প্রয়োজনে ফরজ ইবাদতেও ছাড় দেয়ার হুকুম আছে সেখানে তারা যাচ্ছেন হাজীদের সেবার নামে নফল হজ্বে।এই ডিজিটাল যুগে হাজী হজ্ব এজেন্সীর পিছে পিছে ঘুরে তদারকী করতে হবে তা আমাদের বুঝে আসেনা।হজ্বযাত্রীদের সেবায় যতো আমলা কম যাবে হাজীদের সেবার মান ততো কমে যাবে।কারণ সৌদিতে বসবাসরত আমাদের কর্মচারীরা এই আমলাদের নিয়েই বেশী ব্যাস্ত থাকে এটাই আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে। স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে চিকিৎসারত থেকে জরুরী ফাইলে ডিজিটাল সাইন করতে পারলে হজ্বে দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষের বাইরে অন্যদের যেতে হবে কেন?মূলত এখানে ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে।বড় বড় গরু মহিষ কোরবানীর বিষয়টাও তেমনি।এখানে ইবাদতের চেয়ে সামাজিক ষ্ট্যাটাসকে প্রাধান্য দেয়া হয়।বাজারে গিয়েই আগে দেখা হয় কোন গরুটাতে গোশত বেশী হবে বা কোনটা কিনলে পাড়াময় নাম ছড়িয়ে পড়বে।অথচ আমাদের ওয়াজিবটুকু আদায়ের জন্য বড় গরুর প্রয়োজন নেই একটি খাশি বা ছোট একটি গরু কোরবানী দিয়ে ওয়াজিব আদায় আদায় করে বাকী টাকাগুলো আর্তমানবতার সেবায় ব্যয় করলে আরো বশী আল্লাহর মোকাররাব হওয়া যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।যেহেতু কোরবানী শব্দের সাথে নিকটবর্তী হওয়ার সাথে জড়িত। আমাদের সমাজে কোরবানীর অবস্থাঃ আমরা আজ কোরবানীকে আত্মোৎসর্গের উৎসব নয় একটি সামাজিক উৎসবের আমেজে পালন করে থাকি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোররবানী মাংস খাওয়ার প্রতিযোগীতায় পরিণত হয়েছে। সমাজে কোরবানী নিয়ে আলোচনা হলে প্রায়ই শোনা যাবে,কে কার চেয়ে দামী কোরবানী দিয়েছে। কার গরুতে কতো মণ মাংস হয়েছে। কিংবা আগামী কয় মাস আর মাংস কিনতে হবে না। আমাদের এক শ্রেণীর আলেমরাও কোরবানীর পশুর দাঁত শিং আর লেজ কেমন হবে খুতবায় এ বয়ান করতে করতেই জীবন পার করে দিয়েছেন। কুরবানীর আসল হাকীকত ও তাৎপর্য ব্যাখা না করে ফজীলতের বয়ান এমন ভাবে করেন যাতে হারাম মাল দ্বারা কুরবানী দাতাগণও চরম আত্মতৃপ্তি লাভ করে হারাম থেকে বেঁচে থাকার তাগিদ অনুভব করেন না।যেমন কুরবানীর পশুর গায়ে যতো লোম আছে কোরবানী দাতার আমল নামায় ততো নেকী লেখা হবে এইসব ফজীলতের হিসেব নিকেশের আড়ালে কোরবানীর আসল শিক্ষা সমাজ হতে হারিয়ে গেছে।যে কোন আমলের ফজীলতের মহাত্ম অবশ্যই আছে, তবে কোরবানীর মূল উদ্দেশ্য এবং শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে ফজীলত বর্ণনা করা উচিত যাতে মানুষের আত্মসংশোধন সহজ হয়। কোরবানীর শিক্ষাঃ“ওয়া তারাকনা আলাইহে ফীল আখেরীন আল্লাহ বলেন “দৃষ্টান্ত রেখে দিলাম পরের প্রজন্মের জন্য”অর্থাৎ নবী ইব্রাহীমের আ.ত্যাগের শিক্ষায় যেন তার পরবর্তী প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হয়ে আত্মত্যাগ করে নিজেদের জান মাল আল্লাহর রাস্তায় উৎসর্গ করতে পারে।আল্লাহ বলেন ‘লান তানালুল বিররা হাত্তা তুন ফিক্বু মিম্মা তুহিব্বুন তোমরা ততক্ষণ কল্যাণ লাভ করবেনা যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাস্তায় উৎসর্গ করবে’। এখানে কোরবানীর ঘটনার দ্বারা এই দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো যে নবী ইব্রাহীম আ.পার্থিব সকল কিছু থেকে এমন কী নিজের সন্তানের জীবনের চেয়েও আল্লাহর হুকুমকে প্রধান্য দিয়ে আল্লাহ তা’আলার হুকুমের কাছে নিজ এবং সন্তানের জীবন তুচ্ছ করে দিলেন। তিনি নিজের সন্তানকে কোরবানী দিতে গিয়ে কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব বা ইতস্ততা বোধ করেননি কিংবা কোন অজুহাতও তুলে ধরেননি। তিনি ইচ্ছে করলে বলতে পারতেন যে, ১.আয় আল্লাহ! আমার পরিণত বয়সের একমাত্র সন্তানকে তুমি এমন কঠোর আদেশ থেকে অব্যাহতি দিয়ে আমাকে ক্ষমা কর,কিংবা ২.হে দয়াময় মাবুদ তোমার দ্বীন প্রচারের জন্য ছেলে চেয়েছিলাম,তোমার দ্বীনের কাজের জন্য এ ছেলেটাকে বেঁচে থাকতে দাও,কিংবা ৩.যেহেতু তিনি বিষয়টি স্বপ্নে দেখেছেন,তাই স্বপ্নের উপর ভিত্তি করেই সন্তান কোরবানী করা উচিত হবে কিনা, কিংবা স্বপ্নের ব্যাখ্যা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে সন্তান কোরবানী করা থেকে বিরত থাকার পথ খুঁজতে পারতেন। তিনি এরকম কোন অজুহাত না তুলে আল্লাহর হুকুমের কাছে সন্তানের জীবনকে উৎসর্গ করে দিলেন।।কারণ তিনি জানতেন ইন্নামা আমওয়ালুকুম ওয়া আওলাদুকুম ফিতনাতুন ওয়া আল্লাহু ইন্দাহু আজরুন আজীম।আল্লাহ বলেন,“নিশ্চয়ই তোমাদের ধন-সম্পদ এবং সন্তান-সন্তুতি কেবল পরীক্ষাস্বরূপ,আর আল্লাহর কাছে রয়েছে মহাপুরস্কার’’। নবী ইব্রাহীম আ.সে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হল

 


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution