নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁয়ের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের হস্তক্ষেপে অবশেষে হকার মুক্ত হলো মোগরাপাড়া চৌরাস্তার ফুটওভার ব্রিজ। গত দুই দিন ধরে প্রশাসনের বাঁধার মুখে ফুটওভার ব্রিজ ছাড়তে বাধ্য হোন হকাররা। এর আগেও কয়েকবার ফুটওভার ব্রিজটি হকারমুক্ত করা হয় কিন্তু ক’দিন পর আবার আগের রূপে ফিরে আসে ফুটওভার ব্রিজটি।
জানাগেছে, ২০০৮ সালে কায়সার হাসনাত এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর মোগরাপাড়া চৌরাস্তার ফুটওভার ব্রিজের কাজ শুরু হয়। পরে সেতু মন্ত্রী ওবায়দুর কাদের উদ্ধোধনের পর জনগনের চলাচলের জন্য ফুটওভার ব্রিজটি খুলে দেয়া হয়। বর্তমানে ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে দিনে কয়েক হাজার লোক ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। ফুটওভার ব্রিজটিতে কয়েক হাজার লোক চলাচলের কারণে গত ১০/১২ বছর ধরে কিছু হকার ও ভিক্ষুকের সমাগম শুরু হয়। বর্তমানে হকার ও ভিক্ষুকের জন্য জনগনের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ফুটওভার ব্রিজটির এক পাশ দখল করে পুরো ব্রিজের একপাশ অপর পাশ কাপড়ের দোকান, ফলের দোকান, তরকারীর দোকান ওজন মাপার যন্ত্র বসিয়ে ব্রিজটিকে সরু করে ফেলেছে। অপরদিকে ব্রিজটিতে উঠার সিড়িতে ভিক্ষুক বসার কারণে ব্রিজটি জনসাধারনের চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় ব্রিজটিকে হকার মুক্ত করতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করাসহ আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে সংবাদকর্মীরা জোড়ালো আবেদনের পর মাঝে মধ্যে প্রশাসনের উদ্যোগে ফুটওভার ব্রিজটি হকার উচ্ছেদ করা হলও প্রশাস চলে গেলে তারা আবার সেখানে বসে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা শুরু করে। স্থানীয়দের অভিযোগ এক সময় ফুটওভার ব্রিজটিতে হকাররা নিজেদের ইচ্ছামতো বসে ব্যবসা করলেও বর্তমানে নামধারী কিছু ছেচড়া নেতাকে টাকা দিয়ে এখানে বসতে হয়।
এদিকে গত কয়েকদিন আগে সোনারগাঁয়ের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের উদ্যোগে স্মার্ট সোনারগাঁ বির্নিমানে লক্ষে সোনারগাঁ রয়েল রির্সোটে এক মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সে সভায় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা যানজট নিরসনসহ ফুটওভার ব্রিজটি হকারমুক্ত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। সেই অনুরোধ ও স্মার্ট সোনারগাঁ বির্নিমানে প্রথম প্রদক্ষেপ হিসেবে প্রথমে ফুটওভার ব্রিজটিকে হকারমুক্ত করা হয়। ফলে গত দুইদিন ধরে ফুটওভার ব্রিজটিতে কোন হকার বসতে পারছেনা এতে করে ব্রিজটি দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে পথচারীরা।