নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: ঘুর্নিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সারা দেশের ন্যায় গতকাল রাত থেকে সোনারগাঁয়ে ঘুরি ঘুরি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে আজ সোমবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির সাথে প্রবল বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের জনজীবন বির্পযস্ত হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে ঘর হতে না বেরুনোর কারণে কর্মবিমুখ হয়ে পড়ে শ্রমজীবি মানুষ। বিশেষ করে সে সমস্ত লোকজন জীবনের তাগিদে প্রতিদিন রাস্তাঘাটে খেটে খান সে সমস্ত মানুষ বৃষ্টির কারনে ঘরবন্দি হয়ে পড়েন।
সরেজমনে দেখা যায়, রাস্তাঘাটে গাড়ি পরিমান খুবই কম। বৃৃস্টির কারণে রিক্সা ভ্যান ও অটো চালকরা রাস্তায় আসেনি তাদের একমাত্র জীবন জীবিকার বাহন নিয়ে। এদিকে বৃষ্টির কারণে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের না হওয়ার কারণে গাড়িতেও যাত্রীদের চাপ কম। গতকাল রাত থেকে ঘুড়ি ঘুরি বৃষ্টির সাথে ঝড় বয়ে যাওয়ার কারণে বাড়িঘরের ও রাস্তার গাছপালা ভেঁঙ্গে পড়ে গেছে। অনেক স্থানে রাস্তার উপর গাছ ভেঙ্গে পড়ার কারণে যানবাহনে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ে মধ্য অনেক মার্কেটের দোকানপাট খুলে বসে থাকলেও ক্রেতা না থাকায় সারাদিন অলস সময় পার করেছেন ব্যবসায়ীরা।
অটোচালক দিল মোহাম্মদ জানান, বৃষ্টির কারণে সকাল থেকে বের হতে পারিনি। দুপুরে চিন্তা করলাম গাড়ি না চালালে খাবো কি তাই ঝড়ের মধ্যে গাড়ি নিয়ে বেরুলাম কিন্তু রাস্তায় কোন লোকজন নেই তাই এদিক সেদিক ঘুরে বাড়িতে চলে যাচ্ছি।
অটোরিক্সার যাত্রী ফারুক জানান, সকালে খবর পেয়েছি আমার খালা মারা গেছেন, তাই ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে নারায়ণগঞ্জে খালার জানাযায় গিয়েছিলাম। ভারী বৃৃস্টির সাথে বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে জানাযা দিতে যেমন সমস্যা হয়েছে পাশাপাশি কবর করা ও দাফন করা বড় কষ্ট হয়েছে।
রেডিমেড কাপড়ের দোকানদার তাজুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে বেলা দোকান খুলে বসে আছি কোন কাষ্টমার নেই। সারাদিন অলস সময় পার করে বিকেলে বাড়িতে চলে এসেছি।