নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অন্তত আট কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। তবে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন শিশু এবং বৃদ্ধরা। অনেক কর্মজীবী মানুষকে পাঁয়ে হেটে গন্তব্য স্থলে যেতে দেখা গেছে।
বুধবার দিনব্যাপী মহাসড়কের মদনপুর থেকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা আবার মদনপুর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া মোগরাপাড়া থেকে মেঘনাঘাট পর্যন্ত গাড়িগুলো ধীর গতিতে গাড়ী চলছে। এদিকে মহাসড়কের যানজট শাখা সড়কগুলোতেও প্রভাব পড়েছে।
জানা যায়, আগামী রবিবার মুসলিম উম্মান দ্বিতীয় বড় উৎসব ঈদুল আযহা। ঈদের জন্য আগামী শুক্রবার থেকে সরকারী ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে। এজন্য বেশীর ভাগ চারকরীজীবি ও ব্যবসায়ীরা তাদের পরিবারকে আগে ভাগে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের চাপে মহাসড়কে অতিরিক্ত গাড়ী চলাচল করছে সে কারণে সকাল থেকে মদনপুর এলাকায় চর্তুমুখী গাড়ীর চাপে মদনপুর এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে দিন বাড়ায় সাথে সাথে যানজটের তীব্রতা বাড়তে তাকে। তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকায় ঘরমুখী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ থাকার কারণে পরিবহন মালিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।
হাসান মাহমুদ নামে যাত্রী জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রীর চাপ বেশি হতেপারে। সে জন্য দুর্ভোগ এড়াতে পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু এসে দেখি মহাসড়কে আজ থেকেই তীব্র যানজট।
আবুল হাশেম নামে এক বাস যাত্রী বলেন, দুপুর ১২টার দিকে চিটাগাং রোড থেকে গাড়িতে উঠেছি। কাঁচপুরে এসে যানজটের কবলে পড়েছি। যেখানে কাঁচপুর থেকে মদনপুর যেতে সর্বোচ্চ ১০-১৫ মিনিট লাগে। কিন্তু ২ ঘণ্টা পর এখনও মদনপুর সিগন্যালে বসে আছি।
আসাদুর রহমান আসাদ নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি জীবি জানান, মেঘনাঘাট থেকে চিটাগাং রোডে আসতে তাদের প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ নবীর হোসেন জনান, যাত্রীচাপ বেশি থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি খুব শিগগিরই যানজট নিরসন হবে।