গ্রেপ্তাররা হলেন হান্নান সাউদ (৭৫) ও মো. আয়েছ আলী ভুইয়া (৫৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৭ নভেম্বর শিরিন আক্তার রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার বরপা এলাকার হান্নান সাউদের কাছ থেকে সোনারগাঁও উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ভারগাঁও এলাকায় ৬ শতাংশ জমি কেনেন। পরে ওই জমি ভরাট করে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে সেখানে পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। পরবর্তীতে শিরিন আক্তার জানতে পারেন হান্নান সাউদ তার কাছে ওই জমি বিক্রির পূর্বে ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছেন। ঋণের টাকা পরিশোধ না করলে ঋণ খেলাপীর দায়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই জমি বাজেয়াপ্ত করবে বলে জানতে পারেন তিনি।
এ বিষয়ে হান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিরিন আক্তার একাধিকবার সালিসে বসেন। কিন্তু হান্নান সাউদ কিছুই করতে পারবে না বলে জানান। এরপর হান্নান ও তার লোকজন শিরিন আক্তারকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হান্নান সাউদ ও তার লোকজন শিরিন আক্তারের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তাকে ওই জমি ছেড়ে চলে যেতে বলে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ওইদিন শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপর গতকাল শনিবার মেয়ে (১৬) ও ছেলেকে (১০) নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যা চেষ্টা করেন শিরিন আক্তার। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠায়।
এ বিষয়ে হান্নান সাউদের ছেলে রানা সাউদ জানান, তার বাবা জহির উদ্দিন জয় নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ওই জমির পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি নিয়ে শিরিন আক্তারের কাছে বিক্রি করে দেন। কিন্তু জয় তাদের অগোচরে ব্যাংক ঋণ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে পেরে তার বাবা হান্নান সাউদ সমাধানের চেষ্টা করেছেন।
সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্লাহ জানান, ভুক্তভোগী শিরিন আক্তারের মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাদেরকে হাজতে পাঠান।