নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোরডটকমঃ সরকারের পক্ষ থেকে সারা দেশে লক ডাউন শিথির করার পর আজ রবিবার থেকে সারা বাংলাদেশের মার্কেট, শপিংমল ও দোকানপাট খোলার শর্ত সাপেক্ষ খোলার অনুমতি পায় মালিকরা। এদিকে করোনা ভাইরাসে সংক্রমনের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলছে সোনারগাঁয়ে। এ অবস্থায় গতকাল মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার কয়েকটি মার্কেট ঈদ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় দোকান ও মালিক কর্তৃপক্ষ।। কিন্তু আজ রবিবার সকাল থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া ২/১ মার্কেট তাদের সিদ্বান্ত থেকে সরে গিয়ে মার্কেট খোলা রেখেছে মালিকপক্ষ। এ নিয়ে অন্য মার্কেটের মালিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্ল প্রতিক্রিয়া।
জানাগেছে, গত ৮ মার্চ প্রথম বাংলাদেশে ৩ করোনা রোগী সনাক্ত হয়। যার ২জনই নারায়ণগঞ্জের। এরপর একএক করে করোনার উপসর্গ নিয়ে একাধিক ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জে মারা যাওয়ার পর পুরো নারায়ণগঞ্জে লক ডাউন ঘোষনা করে আইআরএসপিআর। লক ডাউন ঘোষনার পর কিছুদিন মানার পর মানুষ কারণে অকারনে ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়। এসময় অনেকে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মার্কেটও খোলা শুরু করে। পরে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপের কারণে নির্দেশ অমান্য করা দোকানদাররা দোকান বন্ধ করতে বাধ্য করে। এদিকে, সরকার জীবন ও জীবিকার কথা চিন্তা করে আজ রবিবার থেকে সারা দেশের শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাট খোলা শর্ত সাপেক্ষ খোলার অনুমতি দেয়। সরকারের এ সিদ্ধান্ত না মেনে করোনা মোকাবেলা ও আরো বেশী মানুষ যাতে করোনায় সংক্রমিত না হয় সেজন্য দেশের বৃহৎ মার্কেট ও শপিংমলগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে সোনারগাঁয়েও দিনে দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা। বর্তমানে সোনারগাঁয়ে করোনা রোগীর সংখ্যা ৫১জন, মারা গেছেন ২জন সুস্থ হয়েছেন ২জন। সংক্রমনের দিক দিয়ে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় বেশী এবং দিনে দিনে সংক্রমনের হার বেড়েই চলছে। সেদিকে চিন্তা করে গতকাল শনিবার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা কয়েকটি মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্বান্ত নেয় দোকান মালিক ও মার্কেট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আজ শনিববার সকালে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া মালিক পক্ষরা তাদের নেয়া সিদ্বান্ত থেকে সরে গিয়ে ২/১টি মার্কেট খোলা রাখে। যাদের মধ্যে অন্যতম আইয়ুব প্লাজা। গতকালই আইযুব প্লাজা মার্কেট বন্ধ রাখার প্রথম সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু রবিবার সকালে তারাই প্রথম মার্কেট খুলে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করে। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় অন্য মার্কেট মালিক ও দোকানদারদের মধ্যে। এখন অন্য মার্কেটগুলো তারা খোলা রাখবেন কিনা তা দিয়ে মার্কেট মালিক ও দোকানদারদেও মধ্যে দেখা দিয়ে মত পার্থক্য। তবে তারা জানিয়েছেন আমরা সবার সিদ্বান্ত মোতাবেক একসাথে করোনা মোকাবেলায় আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্টান বন্ধ রাখতে সম্মত হয়ে ছিলাম কিন্তু ২/১ মার্কেট তাদের সিদ্বান্ত থেকে সরে এসেছে এটা দুঃখ জনক। এখন তাদের দেখাদেখি ও আমাদের নিজস্ব কিছু কাষ্টমারের কথা চিন্তা করে কাল থেকে হয়ত আমরাও আমাদের মার্কেট খোলা রাখতে বাধ্য হবো। আর যদি বন্ধ রাখি তাহলে সবাই একসাথেই বন্ধ রাখবো। তবে, খন্দকার প্লাজা ও জালাল টাওয়ার ঈদ পর্যন্ত তাদের মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্বান্ত এখনো বহাল আছে।