নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরা গত বছর খানেক আগ থেকেই নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা ফের নির্বাচনে জয়ী হতে মাঠে ঘাটে সরব হয়ে উঠেন। প্রতিটি নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচিত ও নৌকার মনোনয়ন পেতে প্রকাশ্যে ও গোপনে স্থানীয় সাংসদ ও স্থাণীয় আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে নির্বাচনী প্রচারনায় সরব হয়ে উঠেন। কিন্তু সোনারগাঁ রয়েল রির্সোটে মুামুনুল হক কান্ড ও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি পূর্ণগঠন করার পর অনেকটাই নিরব হয়ে গেছেন সেই চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। এখন প্রকাশ্যে তাদের তেমন একটা দেখা যায় না কোন নেতার সাথে। যারামাত্র আহবায়ক কমিটিতে স্থান পেয়েছেন তারা মাঝে মধ্যে আহবায়ক কমিটির কোন মিটিংয়ে একত্রিত হলেও পরক্ষনে তাদের কোন কর্মকান্ডে দেখা মিলেনা।

সুত্র থেকে জানা যায়, করোনা শুরু হওয়ার আগে সোনারগাঁও পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্বাচন কমিশন আবাস দিয়ে আসছিলেন। সেই আবাসের পর থেকে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্র্থীরা উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নেতার ছবি সম্বলিত ফেস্টুন ব্যানার লাগিয়ে পুরো উপজেলা রঙ্গিন করে তোলেন। বিশেষ করে আওয়ামীলীগের জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোতে তাদের প্রচারনা ছিল সবচেয়ে বেশী। নির্বাচনে অংশ গ্রহন, দলীয় মনোনয়ন ও নির্বাচিত চেয়ারম্যান পূনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য স্থানীয় সাংসদ ও আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে সুসর্ম্পক গড়ে তুলেন। নেতাদের খুশি করতে তারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বতঃপূতভাবে অংশ গ্রহন করেন। এছাড়া তারা পূনরায় নির্বাচিত হতে উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সোনারগাঁ জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠনও করেন। কিন্তুু চলতি বছরের ৩রা এপ্রিল সোনারগাঁ রয়েল রির্সোটে মাওলানা মানুনুর হক কান্ডের পর কয়েকটি মামলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি পূর্নগঠন করার পর চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থীরা অনেকটা নিরব হয়ে যান। এছাড়া একাাধিক নেতার একাধিক চেয়ারম্যান ও একাধিক প্রার্থী থাকায় চেয়ারম্যানদের কাছে নেতাদের কদরও অনেকটা বেড়ে যায়।

এদিকে, করোনাকালীন সময়েও এবার অনেক চেয়ারম্যানরাও ছিলেন আন্ডারগ্রাউন্ডে। করোনাকালীন সময়ে সরকারী ত্রান ছাড়া দুই একজন চেয়ারম্যান নিজস্ব অর্থায়ন ছাড়া কেউ মানবতার সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি।

নাম না প্রকাশ করা শর্তে অনেক চেয়ারম্যান নিউজ সোনারগাঁ’কে জানান, মানুনুল হক কান্ডের পর উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় নেতা থেকে শুরু করে জাতীয়পার্টিসহ অনেক নেতার বিরুদ্ধে হয়রানী ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে কয়েকটি মামলা হয়েছে। এতে অনেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা বেকায়দায় পড়েছেন। এ মামলায় একজন চেয়ারম্যান গ্রেফতারও হোন। এছাড়া নতুন করে উপজেলা আহবায়ক কমিটি ঘোষনার পর উপজেলার নির্বাচনী প্রেক্ষাপট বদলাতে থাকে। সেই প্রেক্ষাপটে চেয়ারম্যানরা কাকে ছেড়ে কাকে ধরবেন সে চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। এক নেতার কাছে গেলে অন্য নেতারা তাদের উপর নাখোস হোন। এতে নির্বাচনে মনোয়ন ও নির্বাচিত হতে তারা তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেন। সে জন্য সব নেতাকে বাদ দিয়ে যে যার যার মতো নিজের ইউনিয়নের জনগনকে সময় দিচ্ছেন যাতে কোন নেতার উপর ভর করে নয় জনগনের উপর ভর করে আগামী নির্বাচনে জয় লাভ করতে যারেন। সেই জন্যই সরব চেয়ারম্যানরা হঠাৎ করে নিরব হয়ে গেছেন।