সবচেয়ে বেশি পর্যটক লক্ষ করা গেছে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে। এখানে পর্যটকদের আনন্দ–উল্লাস করতে দেখা যায়। ফাউন্ডেশনের ভেতরে লেকের পানিতে পর্যটকদের নৌকায় চড়ে আনন্দ করতে দেখা যায়। এ ছাড়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পর্যটকদের জন্য পুতুলনাচের ব্যবস্থা করা হয়। শিশু–কিশোরেরা পুতুলনাচ, নাগরদোলা, ফুটবল ও কাবাডি খেলায় মেতে ওঠে। এ সময় পর্যটকেরা ফাউন্ডেশনের ভেতর থেকে বিভিন্ন কারুশিল্প পণ্য, জামদানি শাড়িসহ বিভিন্ন পণ্য কেনেন।
ঢাকার শান্তিনগর থেকে বেড়াতে আসা আসাদুল ইসলাম ও নাসরিন জাহান বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে ছেলেমেয়েসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে এসেছি। নতুন প্রজন্মকে হারিয়ে যেতে বসা গ্রামবাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পেরে ভালো লেগেছে।’
এ ছাড়া বাংলার তাজমহলে গিয়ে দেখা যায়, ভারতের আগ্রার তাজমহলের আদলে তৈরি তাজমহল ও মিশরের পিরামিডের আদলে তৈরি পিরামিড দেখতে পর্যটকরা ভিড় জমিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক আহমেদ উল্লাহ জানান, ঈদের পরদিন ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকেরা ফাউন্ডেশন পরিদর্শনে আসেন। পর্যটকদের নিরাপত্তায় এ বছর বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।