নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টি ফোর ডটকম: নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় মুছাপুর এলাকায় মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী ওয়াজ মাহফিলে হিন্দু থেকে মুসলমান হওয়া নূর মোহাম্মদকে এবার চাকরির ব্যবস্থা করে দিবেন নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টের এডভোকেট মোঃ ফিরোজ মিয়া। এর আগে এডভোকেট ফিরোজ মিয়া হিন্দু থেকে মুসলমান হতে যেসব আইনি প্রক্রিয়ার করা দরকার হয় তার সবকিছু নিজ খরচে করে দেন তিনি।

জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মুছাপুর এলাকায় মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী ওয়াজ মাহফিলে ইসলাম গ্রহণ করেন হিন্দু যুবক। হিন্দু সম্প্রদায় থেকে মুসলিম হওয়া যুবকের ইসলাম গ্রহণ করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে যে সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হয় সে সকল আইনি প্রক্রিয়া বিনা মূল্যে করে দেয়ার ঘোষণা দেন সোনারগাঁয়ের ছেলে নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টের এডভোকেট মোঃ ফিরোজ মিয়া। সেই ওয়াজ মাহফিল মিজানুর রহমান আজহারী হিন্দু যুবককে নাম রাখেন নূর মোহাম্মদ। মুসলমান হওয়ার পর সেই যুবকটিকে তাদের পরিবার থেকে তেজ্য করে তাকে সমাজ থেকে বিতাড়িত করা হয়। পরিবার থেকে বিতাড়িত হয়ে ছেলেটি অসহায় হয়ে পড়ে। টাকার অভাবে তার লেখাপড়া ও জীবনযাপন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায়। এমতাবস্থায় হিন্দু থেকে মুসলমান হওয়া ছেলেটি দ্বারস্থ হন এডভোকেট ফিরোজ মিয়ার কাছে। তখন ফিরোজ মিয়া ছেলেটি লেখাপড়া ও সার্বিক বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করে যুবকটিকে তারই সহকারি হিসেবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। যাতে ছেলেটি চাকরির পাশাপাশি তার লেখাপড়া করে নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জজ কোটের অ্যাডভোকেট ফিরোজ মিয়া জানান, আমি যখন ওকারতি পাশ করি তখন আমার  তখন কোর্টের এক বড় এডভোকেট ভাইকে বলেছিলাম আমাকে তার সহকারী হিসেবে রাখার জন্য।

বিনিময়ে তিনি যেন আমাকে প্রতিদিন দুপুরের খাওয়া এবং আসা যাওয়ার ভাড়া বাবদ ৩০০/= টাকা প্রদান করেন । তিনি রাজী হলেন না এবং আমাকে প্রত্যাখ্যান করলেন। কিন্তু আল্লাহর কি রহমত বুঝা বড় দায়। হিন্দু থেকে মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করেছে নূর মোহাম্মদ। মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করার পর সমাজ তাকে বিতাড়িত করে দিয়েছে বর্তমানে তার চলাফেরা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নূর মোহাম্মদ আমি তাকে ছেড়ে যাব না। আমার সহকারী হিসেবে কাজ করবা সাথে পড়া লেখা চালিয়ে যাবে।
আল্লাহ তুমি উত্তম রিজিক দাতা।
আল্লাহ তোমার সাহায্য চাই।