নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: অফিস কক্ষ নিয়ে সোনারগাঁ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্ধ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে উভয় পক্ষ সমিতির অফিস ঘরটি নিজেদের দাবি করে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন। এক পক্ষ গিয়ে সমিতির অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন অপর পক্ষ গিয়ে সেই তালা ভেঙ্গে ফেলেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষই অফিসটি নিজেদের দখলে নিতে জোড়ালো অবস্থানে রয়েছেন।
জানা গেছে, সোনারগাঁ উপজেলা চত্বরে নির্বাচন অফিসের পশ্চিম পাশে দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা একটি আধাপাকা ঘর মেরামত করে সোনারগাঁ উপজেলা সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি নামে একটি সমিতি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। সম্প্রতি সোনারগাঁ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি নামে একটি সংগঠন সেই ভবনটিতে নিজেদের সমিতির কার্যক্রম চালু করার জন্য ভবনটি ব্যবহার করতে চাচ্ছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ ভবনটি ব্যবহার করা শিক্ষক সমিতির সদস্যরা ছাড়তে নারাজ। এ নিয়ে উভয় সমিতি ভবনটি নিজেদের দাবি করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাওয়ায় দুই সমিতির মধ্যে অভ্যন্তরিন দ্বন্ধ দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিন আগে নতুন সমিতিটি ভবনটি নিজেদের দাবি করে ভবনের মুল ফুটকে তালা ঝুড়িয়ে দেন। পরে আগে থেকে ব্যবহার করা শিক্ষক সমিতির সদস্যরা গিয়ে তালা ভেঙ্গে ফেলেন। পরে আবারও নতুন সমিতি মুল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতাবস্থায় বিষয়টি নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে তা গড়ায় এমপি ও ইউএনও পর্যন্ত। পরে উভয় পক্ষের মারমুখি অবস্থানকে মিমাংসা করার জন্য এমপি ও ইউএনও দায়িত্ব নেন। ফলে এখন এ ভবনটি তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ সরকারী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, উপজেলা চত্বরের আধাপাকা ঘরটি সকল শিক্ষকদের জন্য উপজেলা প্রশাসন বরাদ্ধ দিয়েছে। কিন্তু সোনারগাঁ সরকারী প্রাথমিক একক ভাবে ঘরটি ব্যবহার করছে। আমরা বলেছিলাম আমরাও এখানে বসে কার্যক্রম চালাবো কিন্তু তারা রাজি হয়নি। সেজন্য আমরা ঘরটিতে তালা লাগিয়ে দিয়েছি। এখন উপজেলা প্রশাসন কাছে উভয় পক্ষই ঘরটি ব্যবহারের জন্য আবেদন করেছি। তারা বসে একটি মিমাংসা করে দিবে।
এব্যাপারে সোনারগাঁ সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম জানান, ২০১২ সালে সাবেক ইউএনও সাগরিকা নাসরিন ম্যাডামের সময় আমরা সরকারী নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক সমিতির নামে ঘরটি ভাড়া নিয়েছি এবং নিয়মিত চালানের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে ভাড়া পরিশোধ করে আসছি। সম্প্রতি আরেক সংগঠন ঘরটি তারা ব্যবহার করবে বলে ঘরটিতে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে আমরা বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে জানিয়ে তালা ভেঙ্গে ফেলি। কিন্তু তারা আবারও তালা দিয়েছে। এখন আমরা বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি মিমাংসা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। ফলে ঘরটি এখনও বন্ধ অবস্থায় রয়েছে।