রুহুল আমিন: নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও তার ছেলেদের অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে গণমিছিল ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। আজ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরকামালদী রাস্তায় এ গণমিছিল ও মানববন্ধন করে তারা।

জানা যায়, কিছুদিন পূর্বে এক অটোচালককে অপহরণ করে মারধর করে মনির মেম্বারের ছেলে ও তার সহযোগিরা। এ হামলার জের ধরেই চকবাজারে মনির মেম্বার ও অটোচালক গ্রুপদের মাঝে এক সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ নিয়ে থানায় মামলাও হয়েছে।

মানববন্ধনে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ সরকার বলেন, মনির ও তার পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। তার নামে ডাকাতিসহ থানায় বিভিন্ন মামলাও রয়েছে। তাদের বাড়ি রাস্তার সাথে হওয়ার সুবাধে তারা গাড়ি থেকে চাঁদা নেই। কেউ দিতে না চাইলে তার উপর তারা অমানবিক অত্যাচার করে। তাদের অত্যাচারে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ।

তিনি আরও বলেন, কিছুদিন পূর্বে এক অটোচালক চাঁদা না দেওয়ায় তাকে অপহরণ করে তারা। পরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্য মারতে থাকলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। এখনো সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অথচ মনির মেম্বার থানায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। এমনকি পুলিশ এ মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিদেরও গ্রেফতার করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

স্থানীয়রা জানায়, মনির মেম্বার দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এ কাজে যে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তাকে তারা বিভিন্ন হুমকি ও মারধর করে। তারা আরও বলেন, এখন আবার তারা বিভিন্ন গাড়ি থেকেও চাঁদাবাজি করছে। এতে গাড়ির চালক থেকে শুরু করে আমরা অতিষ্ঠ। আমরা তার বিচার চাই।

তবে, মনির মেম্বারের স্ত্রী সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শহিদুল্লাহ সরকার হুকুমেই তার জামাইকে মারধর করে দুর্বৃত্তরা। এখন তারা পরিকিল্পিতভাবে নাটক সাজানোর চেষ্টা করছে। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান সামসুকে দায়ী করে বলেন, তিনি ইচ্ছা করলে এ হামলা হতো না। তার জন্যই এ হামলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বু আলম সুমন বলেন, মনির মেম্বারের উপর অমানবিকভাবে মারধর করা হয়েছে। এ মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে কেবলমাত্র তাদেরকেই আমরা গ্রেফতার করছি। এতে যারা জড়িত নয় আমরা তাদের গ্রেফতার করছি না।