নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় চাচা, চাচাতো ভাইসহ নয়জনকে আসানি করে থানায় মামলা করেছেন বোন শামসুন্নাহার৷ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটায় সোনারগাঁ থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয় বলে জানান ওসি মাহবুব আলম।
তবে ঘটনার চব্বিশ ঘন্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ৷ এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজনরা ও এলাকাবাসী।
এদিকে দুপুর একটার দিকে ঘটনাস্থল কথা বলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
দুপুর একটার দিকে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের সুপার গোলাম মোস্তফা, সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হতাহতদের বাড়ি আসেন।
এ সময় তারা হতাহতদের স্বজন, স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তারা স্বজনরা এঘটনায় অভিযুক্তদের ফাঁসি দাবি করলে নুরুল ইসলাম তাদের সান্ত্বনা দেন। বলেন, ‘পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছে। এভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করার পর কারো পার পাবার সুযোগ নেই।’ এ সময় তিনি স্বজনদের ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানান।
এদিকে নিহত দুই সহোদরের বড় বোন শামসুন্নাহার বাদী হয়ে করা মামলায় চাচা মহিউদ্দিন, তার ছেলে মোস্তফা, মামুন, মফিজুর রহমান, মারুফসহ নয়জনকে আসামি করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পুর্বপরিকল্পিতভাবে আসলাম সানি, সফিকুল ইসলাম রনি এবং রফিকুল ইসলামকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলে দুই ভাই আসলাম সানি ও সফিকুল ইসলাম রনি মারা যান। রফিকুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিকেলে নিহত দুই ভাইয়ের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর নিজ সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে খাসপাড়ার পাঁচপাড়া এলাকায় বাড়িতে আনা হয়। সন্ধ্যার পর স্থানীয় একটি কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয় বলে স্বজনরা জানান।
গত রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জমির বিরোধে চাচাতো ভাইদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন ব্যবসায়ী আসলাম সানি (৫০) ও তার ছোটভাই সফিকুল ইসলাম রনি (৩০)। গুরুতর জখম অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাদের আরেক ভাই রফিকুল ইসলাম (৪০)। তারা উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের খাসপাড়ার পাঁচপাড়া এলাকার প্রয়াত মো. সানাউল্লাহ’র ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে নিহতদের চাচা মহিউদ্দিন ও তার ছেলে নিহতদের চাচাতো ভাই মো. মোস্তফা (৪০), মামুন হোসেন (৩৫), মফিজুল ইসলাম (২৫), মারুফ (১৮) পলাতক রয়েছেন।