নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ সরকারী কোষাগার থেকে পৌরসভার কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য সুযোগ- সুবিধা প্রদানের জন্য সারা দেশের ন্যায় সোনারগাঁও পৌরসভায় চলছে কর্মকর্তা ও কমর্চারীদের চলছে ২ দিন ব্যাপী কর্ম বিরতি। ফলে পৌরসভার কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তীতে পড়েছে পৌরবাসী। এমনকি কর্মবিরতির ফলে গত দুদিন ধরে পৌরসভার বাতিও জ্বালানোও বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এতে একদিকে যেমন সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে পৌরবাসী অপরদিকে চুরি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঝুঁকি নিয়ে অন্ধকারে পদ চলছে পৌরবাসী।
জানা গেছে, গত ২ বছর ধরে সারা দেশের পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের বেতন বোনাসসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক সুযোগ- সুবিধা সরকারী কোষাগার থেকে দেয়ার জন্য আন্দোলন করে আসছেন। তারা প্রথম দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচীসহ অনশনও করেছেন। সরকার তাদের দাবি না মানায় তারা প্রত্যেকটি পৌরসভায় কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২ বছর ধরে তারা বিভিন্ন সময় কর্মবিরতি পালন করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে গত ২ দিন ধরে তারা সোনারগাঁও পৌরসভার সামনে ব্যানার টানিয়ে কর্মবিরতি পালন করে আসছে। যদিও তারা ব্যানান টানিয়েই তাদের কর্ম সম্পদান করেছে কিন্তু কাউকে ব্যানারের সামনে অবস্থান করতে দেখা যায়নি। তারা ব্যানার টানিয়ে যে যার রুমে গিয়ে চা-নাশতা ও খোস গল্পে মেতে উঠেছেন। এদিকে টানা দুদিন কর্মবিরতির ফলে ভোগান্তীতে পড়েছেন পৌরবাসী। তারা পৌরসভায় এসে কাজ সম্পদান করতে না পারায় ক্ষেভে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে আবার জরুরী কাগজপত্র জমা ও নিবেন বলে দীর্ঘ সময় পৌরসভায় অবস্থান করছেন। কিন্তু তাদের কর্মবিরতির জন্য কাজ করতে না পারায় মহা বিপদে পড়েছেন। এর মধ্যে অনেকে হাতজোড়ও করছেন তাদের জরুরী কাজটি সম্পদান করে দিতে কিন্তু পৌরসভার লোকজন তাদের কথার কোন কর্ণপাত করছেন না। তারা তাদের মতো বসে টাইমপাস করছেন। তাদের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গত দুদিন ধরে পৌরসভার সকল এলাকার বাতিও বন্ধ রেখেছে। এতে করে পৌরসভায় চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও ঘটছে।
পৌরসভায় জম্ম নিবন্ধন নিতে আসা রাকিব জানান, আমি আমার মেয়ের জম্ম নিবন্ধনের সাটিফিকেট নিবো বলে দুদিন ধরে আমার কাজ ফেলে ঢাকা থেকে পৌরসভায় এসে ঘুরছি। তারা কোন কাজ করবে না জানিয়ে দিয়েছেন। এতে আমি খুবই সমস্যায় পড়েছি। সাটিফিকেটটি না নিতে পারলে আমি তার স্কুলের এডমিশনও করাতে পারছি না। তারা কবে কাজ শুরু করবেন তাও বলছেন না। এ সময় তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, এভাবে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে তাদের দাবি দাওয়া আদায় যে এ দেশে কবে শেষ হবে একমাত্র আল্লাহই জানেন।
এ ব্যাপারে পৌরসভার সচিব সামসুল আলম জানান, সরকারী কোষাগার থেকে বেতন বোনাসসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। সরকার আমাদের দাবি মেনে নিলে আমরা আমাদের কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেব।