সারা দিন রোযা রেখে ইফতারী কিনতে গিয়ে হাবিবুর রহমান হাবু ডাকাতের চাপাতির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হলো মৃত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে জুয়েল। সোমবার ইফতারীর একটু আগে শান্তিরবাজারে তাকে হাবু ডাকাত তার ছেলেসহ ২০/২৫ জনের একটি দল এলোপাতালি কুপিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করে মুমুর্ষ অবন্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, বারদী ইউনিযন পরিষদের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হাবু এক সময় ডাকাতির সাথে জড়িত ছিল। গত নির্বাচনে সে ডাকাতি ছেড়ে ভাল হয়ে যাবে এ প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে। নির্বাচনে জয়লাভ করেও সে তার আগের পেশাতে ফিরে যায়। ইউপি সদস্য থাকাকালীন সময়েও সে বিভিন্ন সময় ডাকাতির অভিযোগে কারাভোগ করেছে। এছাড়া সম্পতি সময়ে সে একটিররাজনৈতিক দলে যোগদান করে। এ নিয়ে স্থানীয় আরেকটি পক্ষের সাথে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্ধ শুরু হয়। এ দ্বন্ধের জের ধরে কিছুদিন আগে মছলেন্দপুর এলাকার মৃত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে জুয়েল ও সোহেলের সাথে তার মারামারি হয়। সে সময় জুয়েল ও সোহেল ইউপি সদস্য হাবু ডাকাতকে একা পেয়ে পিটিয়ে আহত করে। এর পর হাবু ডাকাত উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য লায়ন বাবুর ওরফে চুম্মা বাবুলের ভাই আমিনুলকে কুপিয়ে আহত করে। সে মামলায় হাবু ডাকাত ঢাকায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কয়েকদিন আগে জামিন নিয়ে এলাকায় আসে। আজ সোমবার সন্ধ্যার আগে পরিকল্পিতভাবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সে তার ছেলে ও তার দলের ২০/২৫ জনের একটি দল জুয়েলকে শান্তিরবাজারে একা পেয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। কুপিয়ে আহত করার পর মুমুর্ষ জুয়েলকে মৃত ভেবে হাবু ডাকাত ও তার লোকজন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন জুয়েলকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ও পরে হৃদরোগ ইনিস্টিউটে ভর্তি করে।