নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: পরিবার কল্যান সেবা সপ্তাহ গ্রহন করি কৈশোরকালীন মাতৃত্ব রোধ করি” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে পরিবার পরিকল্পনা সপ্তাহ উপলক্ষে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উদ্যোগে জামপুর ইউনিয়নের পেরাবো স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে কিশোর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক মোঃ বসির উদ্দিন। উক্ত সমাবেশে বাল্য বিবাহের কুফল, অপরিণত বয়সে বিবাহের সামাজিক, অর্থনৈতিক, শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কথা বিষদ ভাবে আলচনা করা হয়।
এসময় উপ-পরিচালক মোঃ বসির উদ্দিন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্ব দিয়ে মেয়েদেরকে অধিকতর জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আদর্শ নাগরিক হওয়ার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, মেয়েদের বিবাহের গড় বয়স, ১৬.৮ বছর। এই ফিগার না বাড়ালে দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের সমাজে বাল্য বিবাহের কারনে একদিকে যেমন মাতৃ মৃত্যুর হার বাড়ছে অপরদিকে, বাল্য বিবাহের কারনে সমাজ, রাষ্ট্রে ও পরিবারে পিছিয়ে পড়ছে। অল্প বয়সে বিবাহিত মেয়েরা সাধারণত পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে উদাসীন থাকে। এদের মধ্যে মাতৃ-মৃত্যুর হার বেশি এবং স্বামীর পরিবারে এদের অবস্থানও নিচে থাকে। অল্প বয়সে বিয়ে মানে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। অভিভাবকদের মতে বিয়ে মেয়েদের অবাধ যৌন সম্পর্ক ও যৌন সংক্রামণ থেকে সুরক্ষা দেয়। তবে বাস্তবে অল্প বয়সী মেয়েদের বেশি বয়সের পুরুষের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। ফলে বাল্য বিবাহের ক্ষেত্রে বিপত্তি থেকেই যায়।
সমাবেশের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন বর্তমানে ১৫-১৯ বছর গ্রুপের মেয়েদের মধ্য ৫৯% এরই বিবাহ হয়ে যাচ্ছে। এই বয়স কাঠামোর মেয়েদের মধ্যে ৩১% হয় এক সন্তানের জননী অথবা সন্তান সম্ভাবা। এটি একটি দেশের উন্নয়নের জন্য প্রতিবন্ধক।
উপস্থিতস্কুলগামী মেয়েরা সমাবেশে বলেন, তারা আজ এখান থেক যা শিখে গেলেন তা তাদের মা সহ অন্যান্য নারীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিবেন।