নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ সোনারগাঁয়ে তাবলীগ জামায়াতের দুই গ্রæপের দ্ব›দ্ব নিয়ে সাদ পন্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে জোবায়ের পন্থীর লোকজন। শনিবার এশার নামাজের পর উপজেলার বাড়ীমজলিশ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ী চিনিষ এলাকার হাফেজ মীর মো. মোবারক হোসেনের মাদ্রাসা মসজিদে তাবলীগের জোড় এর (আলোচনা) জন্য অনুমতি চায় সাদপন্থীর অনুসারিরা। শনিবার তারা তাবলীগের আলোচনার জন্য হাফেজ মীর মো. মোবারক হোসেনের অনুমতি চাইলে তিনি মসজিদের বারান্দায় আলোচনা করার জন্য অনুমতি দেয়। এ খবর পেয়ে জোবায়েরপন্থীর বিপুল সংখ্যক অনুসারী হাফেজ মীর মো. মোবারক হোসেনের কাছে গিয়ে এ অনুমতি বাতিল করার জন্য মৌখিকভাবে আবেদন করে। উভয় পক্ষের সংঘাতের আশংকায় মোবারক হোসেনের দুই পক্ষকেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করার নির্দেশ দেন।পরে ওই মসজিদে এশার নামাজ আদায়ের পর বাড়ি ফেরার পথে মসজিদের বাইরে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা জোবায়েরপন্থীর অনুসারী কালা জাহাঙ্গির, আনোয়ার ও আকবরের নেতৃত্বে রফিক, মাহবুব, কাউসার, মিরাজ, নির্জরসহ ২০/২৫ জনের একটি দল অতর্কিত ভাবে সাদপন্থীর ৭/৮জন অনুরাসীর উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে সাদপন্থীর নাঈম, মিজানুর রহমান, আমিনুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব, রমজান ও বেলাল আহত হয়। আহতদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাদপন্থী ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব জানান, আমাদেরকে তাবলীগের আলোচনা করতে নিষেদ করায় আমরা সবাই সেখান থেকে চলে যাই। এশার নামাজ পড়ার জন্য সেখানে গেলে নামাজ শেষে মসজিদে কিতাবের কিছু বয়ান হয় এটা শুনে আমরা কয়েকজন বাড়ি ফেরার পথে জোবায়েরপন্থীর লোকজন বিনা কারণে আমাদের উপর হামলা চালায়।
জোবায়ের পন্থীর সোনারগাঁয়ের নেতৃত্বস্থানীয় মাওলানা সাদেক হোসেন জানান, আমি মারামারির ঘটনা শুনেছি। যারা এটি করেছে তারা খুবই অন্যায় করেছে। তাবলীগে এ ধরনের মারামারির কোন স্থান নেই।
হাফেজ মীর মো. মোবারক হোসেন বলেন, আমার মাদ্রাসার মসজিদে সাদপন্থীরা তাবলীগের আলোচনা করার জন্য অনুমতি চেয়েছিল পরে আমি তাদেরকে মসজিদের বারান্দায় আলোচনা করার অনুমতি দেই। কিন্তু জোবায়েরপন্থীর বিপুল সংখ্যাক অনুসারী আমার কাছে এসে বলে এখানে তাদেরকে আলোচনা করতে দেয়া যাবে না। আমি পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য অনুমতি বাতিল করি।
এর পরেও আমার মসজিদের গেইটের বাইরে জোবায়েরপন্থীর লোকজন অন্যায়ভাবে সাদপন্থীর লোকজনকে মারধর করে। তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন এটা কিসের তাবলীগের শিক্ষা। যারা মেরেছে তারা তাবলীগের কোন অনুসারী নয় তারা সন্ত্রাসী।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, মারামারির ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত নই। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।