নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নে কামারগাঁওয়ে এক কৃষকের ২ বিঘা জমি দখলে চেষ্টা ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রলীগ নেতা একটি কোম্পানীর হয়ে কৃষকের জমি দখলে জন্য ভল্টডোজার দিয়ে কৃষকের দেয়াল ভেঙ্গে জমিতে থাকা লিচু গাছ ও একটি ঘর গুড়িয়ে দিয়েছে। ঐ ঘটনায় কৃষক খঅলেক সরকার বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে খালেক সরকার উল্লেখ করেন, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের নারাইন্দা মৌজায় ১৯/২৮ দাগে তার ২ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। গত কয়েক মাস আগে এ জমিতে চোখ পড়ে একটি কোম্পানীর। কৃষকের ওই জমি দখল করতে দায়িত্ব দেয়া হয় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনিকে। সোহাগ রনি তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে কৃষকদের মামলা ও হামলা করে কৃষকদের বাড়ী ছাড়া করে ওই মৌজার কয়েক শত বিঘা সম্পতি জোড় পূর্বক বালু ফেলে ভরাট করে দেয়াল নির্মান করে ফেলে। গত কয়েকদিন ধরে তার চোখ পড়ে দেয়ালের বাহিরে খালেক মিয়ার জমিতে। সেজন্য সে গত কয়েকদিন ধরে খালেক মিয়াকে হুমকি ধামকি দিয়ে জায়গা দখলের পায়তারা করছিল। খালেক মিয়া এ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ধারস্ত হলে চেয়ারম্যান সরেজমিনে এসে বালু ভরাট ও কৃষকের জমি দখলে বাঁধা দেন সোহাগকে। কিন্তু সোহাগ রনি ক্ষমতার দাপটে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীকে অস্ত্রে সজ্জিত করে পাহাড়া বসিয়ে শনিবার সকাল থেকে জোড় পূবর্ক কৃষকের জমিতে প্রবেশ করে ভোল্টডোজার দিয়ে কৃষকের জমির দেয়াল ফেঙ্গে ফসল নস্ট করে কৃষকের একটি ঘর গুড়িয়ে দেয়। কৃষক খালেক সরদার বাঁধা দিয়ে সোহাগ মিয়ার সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে মারধরের ভয় দেখিয়ে জমিতে ঢুকতে বাধা প্রদান করে। এ ঘটনায় বিকেলে কৃষক খালেক মিয়া বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা সোহাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত ২টি মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি বলেন, জমি দখলে খবর পেলে পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে কোন ছাড় নেই।