নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সবাই যখন সেহেরী খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক সেই সময় হঠাত করে আকাশ আগুনের আলোকে আলোকিত হয়ে উঠে। আগুনের লেলিহান শিখা যখন আকাশমুখি সেই মুর্হুতে পুরো মোগরপাড়া চৌরাস্তয় আলোর রসনিতে আলোকিত হয়ে উঠে। আশ পাশের লোকজন ছুটে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। কিন্তু এর আগেই আগুনে পুড়ে সব শেষ। কাঠের দোকান ছিল বিধায় আগুন এক দোকান থেকে ছড়িয়ে পড়ে অন্য দোকানে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার ভোর রাত ৩টার সময় মোগরাপাড়া চৌরাস্তার বাড়ি মজলিশ গ্রামের বিল্লালের বাড়ির সাথে তার কাঠের দোকানে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া কাঠের দোকানের মালিক মনির হোসেন জানান, প্রতিদিনের ন্যায় তিনি রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। রাত ৩টার পরে খবর পান তার দোকানসহ আশপাশের ৭টি কাঠের দোকানে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে এসে এলাকাবাসীর চেষ্টার আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু সবগুলো কাঠ ও কাঠের ফার্নিচারের দোকান থাকার কারনে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এসময় কারো কাছে সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিসের নাম্বার না থাকায় ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট খবর পাওয়ার ঘন্টাখানেক পর ঘটনাস্থলে এসে পোচ্ছায়। এদিকে খবর পেয়ে গজারিয়া থেকে দুটি ইউনিট তাদের সাথে যোগ দেয়। কিন্তু আগুন নেভানোর জন্য যে পরিমান পানির প্রয়োজন সে পরিমান পানি তাদের সংগ্রহে না থাকায় অন্য এলাকা থেকে পানি এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এরই মধ্যে ৭টি দোকানেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো আগুন পাশ্ববর্তি বাড়িঘরে ছড়িয়ে যাতে না পরে সেজন্য কাজ করে। পরে ১ঘণ্টা চেষ্টায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। দোকান মালিক মনির হোসেন আরো জানান, তার দোকানে ৭ লাখ টাকার কাঠ ও কাঠের মালামাল ছিল। অন্য দোকানগুলো কাঠের ফার্নিচারের দোকান ও কাঠের দোকান ছিল। তার ধারনা সব কিছু মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি সাধন হয়েছে। তবে কি কারণে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে তাৎক্ষনিক কেউ বলতে পারেনি।