নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
রাজধানীর বনানী এফআর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডে নিহত আহম্মেদ জাফরের(৬০) লাশ তার নিজ গ্রাম সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরা ইউনিয়নের নবীনগরে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) বাদ জুম্মা সোনারগাঁ নবীনগর গ্রামের পৈত্রিক বাড়ির পাশে একটি মাঠে জানাযা শেষে নবীনগর সামাজিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
অগ্নিকান্ডে নিহত আহম্মেদ জাফরের পরিবারের সূত্রে জানা যায়, তার চাচা আহম্মেদ জাফর সোনালী ব্যাংকে প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে তিনি অবসরে চলে যান। মাত্র তিন মাস আগে তিনি হাসিফ ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি বেসরকারী সংস্থায় ট্রান্সপোর্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন। বনানীর এফ আর টাওয়ারের ৮ম তলায় তার অফিস ছিলো।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) অগ্নিকান্ডের সময় তিনি ওই অফিসেই অবস্থান করছিলেন। পরিবারের সদস্যরা টিভি স্ক্রলে অগ্নিকান্ডের সংবাদ দেখে আহম্মেদ জাফরের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা তাকে ফোনে পাননি। পরে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেয়ে তার লাশ সনাক্ত করেন।
আহম্মেদ জাফর ঢাকার মোহাম্মদপুরের আহম্মেদীয়া হাউজিংয়ে স্ব-পরিবারে বসবাস করতেন। সোয়েব আহম্মেদ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া তার এক ছেলে রয়েছে।
আহম্মেদ জাফরের আরেক ভাতিজা জাকির হোসেন জানান, চাকুরি সূত্রে আমি ঢাকার শাহিনবাগ এলাকায় বসবাস করি। অগ্নিকান্ডের খবর শুনার পর সাথে সাথে মোবাইলে চাচার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
তিনি আরো জানান, প্রায় ৩০-৩৫ বছর আগে আহম্মেদ জাফর ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সোনারগাঁয়ের নবীনগর গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। বর্তমানে তিনি সোনারগাঁয়ে নবীনগরে তাদের পৈত্রিক ভিটা থাকলেও এখানে কেউ থাকেনা।
তিনি বলেন, ব্যক্তি জীবনে আহম্মেদ জাফর অত্যন্ত মেধাবী ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি এলাকায় বসবাস না করলেও কারো মৃত্যু সংবাদ শুনলে এলাকায় ছুটে আসতেন। তাছাড়া বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানেও নিয়মিত আসতেন।