নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
তিন মাস ধরে শিশুকে বলাৎকার, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগের পর ধামাচাপার চেষ্টা
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ন্যাক্কারজনক লাম্পট্যের অভিযোগ ওঠেছে। শিশুটির সঙ্গে এমনভাবে নোংরামী করা হয়েছে যা লেখার মতও নয়। একটি দশ বছরের শিশুকে তিন মাস ধরে বলাৎকার করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় শিশুটির বাবা লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
সোনারগাঁও সাদিপুর ইউনিয়ন এলাকায় ঘটা এ ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ছিঃছি পড়ে যায়। সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়। কিন্তু শিশুটির বাবা থানায় অভিযোগ দিলেও নীরহ হওয়ার কারনে পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করছেনা। এ সুযোগে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলেও এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানাগেছে, উপজেলার সাদিপুর গ্রামের আব্দুর রহমান মোল্লার ছেলে মাওলানা আবুল কালাম মোল্লা সাদিপুর গ্রামে তাফহিমুল উম্মাহ আইডিয়াল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক।
তিনি এই মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির এক দশ বছরের ছাত্রকে বিগত তিন মাস যাবত ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করায় শিশুটির কোমড় ও পায়ু পথে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি হয়। শিশুটির অভিভাবকরা বিষয়টি রোগ মনে করে ডাক্তারের সরণাপন্ন হন। অনেক চিকিৎসা করালেও সুস্থ্য হয়নি শিশুটি।
এদিকে গত ১ মে দুপুর দেড়টার দিকে ছাত্রটি বাড়িতে এসে কোমড় ও পায়ু পথের তীব্র ব্যথায় চিৎকার শুরু করলে তার পিতা-মাতা ও প্রতিবেশিরা তাকে এ বিষয়ে কঠোরভাবে জিজ্ঞাসা করে। এসময় সে জানায়, মাওলানা আবুল কালাম মোল্লা তাকে মাদ্রাসার ভিতরে নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘ তিন মাস যাবত জোরপূর্বক বলাৎকার করে আসছে এবং বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে।
প্রকৃত ঘটনা জানার পর গত ২মে ওই ছাত্রের বাবা বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু থানা পুলিশ রহস্যজনক কারনে মামলা গ্রহণ করছেনা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাওলানা আবুল কালাম মোল্লার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার তাফহিমুল উম্মাহ আইডিয়াল মাদ্রাসায় গেলে মাদ্রাসাটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। এছাড়া এসময় তার মাদ্রাসা সংলগ্ন বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলার তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ এহসান মিয়া ঘটনা স্বীকার করে নিউজ সোনারগাঁকে বলেন, আমরা ঘটনাটি জানার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসি। কিন্তু ছাত্রদের অভিভাবকদের পক্ষে কোন লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় উর্ধ্ব তন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সূয়: আজকাল নারায়ণগঞ্জ