নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
অবশেষে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পত্র দিয়ে পরিক্ষা নিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। গত ১২ আগষ্ট সকালে উপজেলা বিভিন্ন স্থানে ৫ম শ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার প্রশ্ন পত্র ফাঁস হয়ে যায়। সে ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিক্ষা নিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
এদিকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে পরিক্ষা নেওয়ার অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানাগেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে উপজেলা সকল পরিক্ষার প্রশ্ন প্রত্র মূদ্রণ করে প্রত্যেক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে পৌচ্ছে দেওয়া হয়। সে নিয়ম অনুযায়ী আগষ্ট মাসের ৫ তারিখে উপজেলার প্রত্যেকটি স্কুলে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে। ৬ তারিখ থেকে উপজেলার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে পরিক্ষা শুরু হয়। সে হিসেবে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা পরিক্ষা আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু গত শনিবার রাতে ইসলাম ও নৈতিক পরিক্ষার প্রশ্ন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনেক শিক্ষার্থীর হাতে পৌচ্ছে যায়।
ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র নিয়মনুযায়ী পরিক্ষা স্থাগিত বা নতুন প্রশ্নপত্র দিয়ে পরিক্ষা হওয়ার নিয়ম থাকলেও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তার প্রমান পায়নি বলে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র দিয়েই পরিক্ষা শেষ করেছেন।
এদিকে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পত্র দিয়ে পরিক্ষা নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তারা অভিযোগ করেন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের গাফলতির কারণে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার মতো একটি পরিক্ষার প্রশ্ন ফাঁস তা মেনে নেওয়া যায়। আবার ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরিক্ষা নেওয়ার সিদ্বান্তও সঠিক নয়। যেহেতু পত্র-পত্রিকায় প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে সে হিসেবে সঠিক তদন্ত করে নতুন প্রশ্নপত্রে পরিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল।
তবে, এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, পরিক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপারে কোন সত্যতা পাইনি। তাই আগে মুদ্রণ করা প্রশ্নপত্র দিয়ে পরিক্ষা নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীনুর ইসলাম জানান, ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দিয়ে পরিক্ষা নেওয়া সঠিক হয়নি। তবে ভবিষ্যৎতে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।