খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার রূপসা উপজেলার শোলপুরে হত্যার পর এনামুল হক (৫০) নামে এক ব্যক্তির লাশ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলে নিয়ামুল ইসলাম তানভিরের বিরুদ্ধে। ঘটনার সাত মাস পর তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে তানভির ও তার সহযোগী জুম্মানকে (৪০) আটক করে পুলিশ। এর আগে ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, “এ বছরের ৯ মে এনামুল হককে মসলা বাটা শিল দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে তার ছেলে। পরে সহযোগী জুম্মানকে নিয়ে মরদেহটি বাড়ির বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে তারা বাবা এনামুল হক কোথাও চলে গেছে বা পানিতে পড়ে মারা যেতে পারে বলে এলাকায় প্রচার শুরু করে। এনামুল হক আগে থেকে মৃগী রোগে আক্রান্ত থাকায় স্থানীয়রা বিষয়টি সহজে বিশ্বাস করে নেয়।”
বিষয়টি এনামুল হকের ছোট ছেলে নাঈম জানত।
তিনি আরও বলেন, “২৯ ডিসেম্বর সকালে নিয়ামুল ইসলাম তানভির তার ছোট ভাই নাঈমকে (১১) মারধর করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাঈম চিৎকার করে বাবাকে হত্যার কথা সবাইকে জানিয়ে দেয়। এরপর নিয়ামুল পালিয়ে যায়। নাঈমের কথা শুনে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেওয়ার পর পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।”
ওসি সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, “বিষয়টি জানার পর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করি। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”