ভারতের বেঙ্গালুরুতে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

পিটিআই জানায়, শুক্রবার দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর একটি বিশেষ আদালত এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সবাই বাংলাদেশি।

ভারতের বেঙ্গালুরুতে এক বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল অভিযোগপত্রভুক্ত ১২ আসামির মধ্যে ১১ জনই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন নারী।

সাতজনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া ছাড়াও একজনকে ২০ বছর ও আরেকজনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযুক্ত অন্য দুজনকে ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীন ৯ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার সাক্ষী অন্য এক আসামিকে খালাস দেয়া হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁদ মিয়া ওরফে সবুজ, মোহাম্মদ রিফাদুল ইসলাম ওরফে হৃদয় বাবু ওরফে টিকটক হৃদয়, মোহাম্মদ আলামিন হোসেন ওরফে রাফসান মণ্ডল, রকিবুল ইসলাম ওরফে সাগর, মোহাম্মদ আবু শেখ, মোহাম্মদ ডালিম ও আজিম হোসেন।

এ ছাড়া আসামি তানিয়া খানের ২০ বছরের জেল হয়েছে। অপরাধ সংঘটনে সহায়তা প্রদান ও অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করার অপরাধে মোহাম্মদ জামাল নামের অপর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুই নারী আসামি হলেন নুসরাত ও কাজল। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ঘটনা জেনেও গোপন রাখার অপরাধে তাঁদের প্রত্যেককে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ২৭ মে ২২ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি তরুণী বেঙ্গালুরুতে নির্যাতন ও দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ওই নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিও ভাইরাল হলে ভারত ও বাংলাদেশে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরপর অপরাধ সংঘটিতের ২৮ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল এবং ৩ মাসে বিচার শেষ করা হয়।