দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় অচেতন শ্রীকেশ কুমারকে নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। চিকিৎসকরা “ নিহত ” ঘোষণা করলে তাকে রাখা হয় মর্গের হিমঘরে। সাত ঘণ্টা পরে জানা গেলো, প্রাণ হারাননি ৪০ বছর বয়সী শ্রীকেশ। তিনি জীবিত! ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে।
টাইম অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, মোটরসাইকেলের ধাক্কায় অচেতন হয়ে গেলে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) ইলেক্ট্রিশিয়ান শ্রীকেশকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে। পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান তিনি মারা গেছেন। পরে হাসপাতালের কর্মীরা তাকে হিমাগারে ঢুকিয়ে দেয়। সাত ঘণ্টা পর পরিবারের কাছ থেকে ময়নাতদন্তের কাগজপত্রে সই নিতে গেলে শ্রীকেশের শরীরে নড়াচড়ার লক্ষণ দেখতে পান শ্যালিকা মধু বালা । এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে মধু বালাকে বলতে শোনা যায়, ” উনি মারা যাননি। এটা কীভাবে হলো। দেখুন উনি কিছু একটা বলতে চাইছেন, শ্বাস নিচ্ছেন।
এদিকে, শ্রীকেশকে এখন চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে মিরুতের একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে। তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তার শ্যালিকা বলেন , “ তার এখনও জ্ঞান ফেরেনি। হিমঘরে রেখে যে চিকিৎসক শ্রীকেশকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন , কর্তব্যে অবহেলার জন্য আমরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করব।
“এ বিষয়ে স্থানীয় চিফ মেডিকেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডা. শিভ সিং বলেন, ” রাত ৩ টার দিকে জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাকে দেখেন । তখন তার কোনো হার্টবিট ছিল না। তিনি ওই ব্যক্তিকে অনেকবার পরীক্ষা করেছেন। এরপর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সকালে পুলিশ আসার পর পরিবারের লোকজন বুঝতে পারে তিনি বেঁচে আছেন। তার জীবন রক্ষা করাই এখন আমাদের প্রধান কর্তব্য । ” তিনি বিষয়টিকে “ বিরলের চেয়েও বিরলতর ” বলে আখ্যা দেন এবং এক্ষেত্রে কোনোভাবেই চিকিৎসকের দোষ দিতে নারাজ ।