নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: ‘এবারের সবচেয়ে বড় চমক হচ্ছে, এই এলাকা ও চট্টগ্রাম, সিলেট এলাকার জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় মেঘনা ও মেঘনা-গোমতি সেতু ওপেন করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এই ঈদ উপহারের জন্য অন্য যেকোন ঈদের চেয়ে এবার নির্বিঘ্নে ঈদ যাত্রা করতে পারবে মানুষ।’ এছাড়া ঈদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি মেস, হোটেল কিংবা বাসা-বাড়িতে আগাম তল্লাশী ও গোয়েন্দা তৎপরতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুর ১টায় মদনপুরে ঈদকে ঘিরে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পুলিশের ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এবার শোলাকিয়ার এবং এই এলাকার সকল মেস, হোটেল, বাসা-বাড়িতে আগাম তল্লাশী ও গোয়েন্দা তৎপরতা রয়েছে। এমনকি ঢাকা রেঞ্জ এলাকার প্রতিটি জায়গায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দিন কিংবা রাত যেকোন সময়ে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন জেলার অধিবাসীরা এই হাইওয়ে দিয়ে যাতায়াত করবে। তাই আমরা ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী জেলা পুলিশের ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে ঘরমুখী মানুষ নিরাপদে নির্দিষ্ট সময়ে শান্তিতে তাদের বাড়িঘরে গিয়ে ঈদ করতে পারে। সে উপলক্ষে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেকোন ধরণের চাঁদাবাজি, ছিনতাই রোধ করার জন্য ইতিমধ্যে আমাদের আইজিপি মহোদয় জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়েছেন। যদি কোন শ্রমিক সংগঠন, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ কিংবা পুলিশের কোন সদস্যও যদি এই চাঁদাবাজি চক্রের সাথে জড়িত থাকে তাহলে থানায় অভিযোগ করবেন। এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে। তবে এ ধরণের কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আসেনি।’
ডিআইজি বলেন, ‘জঙ্গি হামলার কোন সুনির্দিষ্ট আশঙ্কা এখন পর্যন্ত পুলিশের কাছে নেই। তারপরও সেই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখে শুধু মাত্র শোলাকিয়া নয় সারা বাংলাদেশেই একটি নিরাপত্তা পরিকল্পনা রয়েছে। যেকোন ধরণের ঘটনা মোকাবেলা করতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে আর কোন ধরণের ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারেও গোয়েন্দা নজরদারী রয়েছে।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) সুবাস চন্দ্র সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ অঞ্চল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহীন শাহ্ পারভেজ, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা (ডিআইও-২) মো. সাজ্জাদ রোমন প্রমুখ।