নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
রাজমিন্ত্রী লাল মিয়ার হত্যার মুল হোতা জাতীয়পার্টির নেতা ও স্বঘোষিত এমপি নাতিগ্রুপের প্রধান প্রভাবশালী হাজী আনোয়ারকে ৫ নং আসামী করে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত লাল মিয়ার ছেলে খোকন বাদি হয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১৫/ ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে এ মামলাটি করা হয়। মামলায় প্রধান আসামী করা হয় ছামাদ মিয়াকে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার কাঁচপুর ইউপির ললাটি গ্রামে রাজমিস্ত্রী লাল মিয়া হত্যার ঘটনায় তার ছেলে খোকন বাদি হয়ে জমির মালিকানা দাবিকারী মোঃ ছামাদ মিয়াকে প্রধান আসামী করে তার ছেলে মহিউদ্দিন ও জসিমসহ ইমরান ভুইয়া, গোলজার, হাজী আনোয়ার, হাবিবুল্লাহ ও মিঠুর নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় আরো ১৫/২০জনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বাদি খোকন মিয়া জানান, আমার বাবা লাল মিয়াকে হত্যার ঘটনায় আমি বাদি হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১৫/২০জনকে অজ্ঞাতনামা করে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।
উল্লেখ্য, কাঁচপুর ইউনিয়নের ললাটি গ্রামের আব্দুস সামাদের সাথে খোরশেদের দীর্ঘদিন ধরে ২০ শতাংশ জমি নিয়ে দ্বন্ধ চলছিল। জমিটি খোরশেদের দখলে রয়েছে এবং একাধিকবার বিচার শালিসে খোরশেদ এ জমির রায় পেয়েছে। আব্দুস সামাদ এ জমিটি দখল করতে ব্যর্থ হয়ে সম্প্রতি এ বিরোধপূর্ন জমিটি সনমান্দী ইউনিয়নের নাজিরপুর বড়বাড়ি এলাকার জাতীয় পার্টির নেতা ও স্ব-ঘোষিত নাতী গ্রুপের প্রধান প্রভাবশালী হাজী আনোয়ার হোসেনের কাছে বিক্রি করে দেন। হাজী আনোয়ার জমিটি ক্রয় করে দখলে নেয়ার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে তার নেতৃত্বে মদনপুরের সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান হাবিব, মিঠু, গোলজারসহ ৭০-৮০ জন ব্যক্তি ওই জমি দখল করতে যায়। এ সময় খোরশেদের ফুফা লাল মিয়া মিস্ত্রী এতে বাধা দিতে আসলে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে হাজী আনোয়ার ও তার লোকজন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। ঘটনার পর পরই এ ঘটনায় জড়িত আব্দুস সামাদ ও তার ছেলে মহিউদ্দিনকে আটক করে পুলিশ।